সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে শীতের পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে। প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এ পিঠা বিক্রি। উপজেলার তাড়াশ বাজারের কলেজগেট, বাসষ্ট্যান্ড, বাজারের মধ্যে, শহীদ মিনার চত্বর, পশ্চিমবাধসহ বিভিন্ন বাজারে চলছে রমরমা পিঠা বিক্রির ধুম।
সরেজমিনে তাড়াশ পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেখা যায়, পিঠা তৈরি করছেন দোকানী আর দলবেঁধে শিশু, কিশোরসহ সকল শ্রেণির মানুষ শীতের পিঠা খেতে ভিড় করছেন। পিঠাগুলো মধ্যে হলো ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, ঝাল পিঠা, সবজি পিঠাসহ হরেক রকমের বাহারি পিঠা। তাড়াশ উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, সন্ধ্যার পর শীতের আমেজে দাঁড়িয়ে পিঠা খেতে দারুন ভাল লাগে। কারণ গ্রাম বাঙ্গলার ঐতিহ্যবাহী পিঠাগুলো খেতে দারুন মজাদার। চাকরির জন্য গ্রামে আর তেমন যাওয়া হয় না। তাই আর সেই লোভনীয় পিঠা দেখলেই সেই ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে যায়।
স্থানীয় আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগেকার দিনের মত আর সেই বাহারী পিঠার স্বাদ পাই না। আগের দিনে আত্নীয়স্বজন নিয়ে কত মজা করে বাড়িতে পিঠা তৈরি করে আনন্দের সাথে সকলে মিলে খেতাম। এখন হাটবাজারে সকালে ও বিকালে পিঠা তৈরি করে বিক্রি করেন। তাই আর কষ্ট করে বাড়িতে তৈরি করতে হয় না। বাজারেই কিনে খাওয়া হয়।
পিঠা বিক্রেতা মোতালেব হোসেন জানান, প্রতিদিন সকালে আধামণ চালের গুড়া দিয়ে পিঠা তৈরি করে বিক্রি করি। আর সন্ধ্যায় প্রায় ৩০ কেজি চালের গুড়া লাগে। এতে ব্যবসাও ভাল হয়। প্রতিদিন আয় হয় প্রায় দেড় হাজার টাকা। তাছাড়া অনেকেই পিঠা খায় ও বাড়ির জন্য নিয়েও যান।
তাড়াশ বাজারের পিঠা বিক্রেতা শহিদ আহমেদ বলেন, শীত আসলেই প্রতিবছরে সকালে ও বিকালে পিঠা বিক্রি করি। বেচাবিক্রি খুব ভাল হয়। এতে করে চাল ও জ্বালানি খরচ বাদে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার থেকে ১২শ’ টাকা লাভ হয়।
তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল শেখ বলেন, শীতকাল আসলেই নানান রকমের পিঠা বিক্রির ধুম পড়ে হাটবাজারে। রসনাবিলাশ লোকজন পিঠা খেতে ভিড় করেন দোকানগুলো। আর এ পিঠা খেতে খুবই মজাদার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন