শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

প্রধানমন্ত্রী বরাবরে ৫ দফা দাবীর স্মারকলিপি

দিরাই (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ৮:০৭ পিএম

‘বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ’-এর পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবী সম্বলিত একটি স্মারকলিপি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে প্রদান করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের সামনে এক মানববন্ধন শেষে এ নির্বাহী কর্মকর্তার হাতে এ স্মারকলিপি পেশ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অমরেন্দ্র বিশ্বাস, আনহার মিয়া, সুরুজ আলী খান, বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, আতাউর রহমান, গৌরাঙ্গ নন্দী, জিয়াউর রহমান, রঞ্জন সরকার, জীবন কৃষ্ণ দাস, আব্দুল কাদির, রহমত আলী, হেলাল সরদার, প্রবোধ রঞ্জন তালুকদার, কুতুব উদ্দিন, অর্র্জুন দাস, মহিউল আলম, উকিল আলী, শুভাশীষ দাস।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ৩য় শ্রেণি কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন গ্রেড ১১তম প্রদান করতে হবে এবং শিক্ষার্থী সংখ্যার অনুপাতে ৩য় শ্রেণি কর্মচারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। পদের নাম পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা/অফিস সুপার প্রদান করতে হবে এবং পেশাগত উন্নয়নে কম্পিউটারসহ অন্যান্য বিষয়ে উচ্চতর ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের প্রণীত চাকুরীবিধি-২০১২ দ্রুত বাস্তবায়ন ও প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডিতে কর্মচারীদের একজন সদস্য রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দ্রুত উচ্চতর পদে পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে। সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে হবে।
স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আমরা বাংলাদেশের বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে প্রায় পঞ্চাশ হাজার তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী জাতি গঠনে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে আসছি। চরম বৈষম্যের মধ্যে আমাদের মানবেতর দিন কাটাতে হয়। জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতি গঠনে যুগোপুযোগী শিক্ষানীতি উপহার দিয়েছেন। এই শিক্ষানীতির আলোকে আমাদের দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত চাকুরী বিধিমালা-২০১২ জারি করা হয়। প্রণিত চাকুরী বিধিমালা অনুযায়ী গভর্নিং বডি/পরিচালনা পরিষদে কর্মচারীদের একজন সদস্য রাখার বিষয়টি অদ্যাবদি কার্যকর করা হয়নি। গভর্নিং বডিতে কর্মচারীদের সদস্য না রাখাসহ চাকুরী বিধিমালা যথাসময়ে বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়টি মন্ত্রনালয়ে পত্র দিয়ে জানানো হয়েছে। মহান জাতীয় সংসদে পাশকৃত আইন, জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুসরন করে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী চাকুরীবিধি প্রণয়নের আইনটি যদি প্রচলিত আইনের সাথে কোথাও সাংঘর্ষিক হয়ে থাকে; তা সংশোধনের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের, কোনভাবেই তা আমাদের উপর বর্তায় না। চাকুরীতে যোগদানের তারিখ হতে অবসর গ্রহণ পর্যন্ত ৩০/৪০ বছরে আমাদের বেতন গ্রেডের কোন পরিবর্তন নেই, সারাজীবনে কোন পদোন্নতি নাই। চাকুরীবিধি অনুসরণ না করার কারণে আমাদের নাই কোন কর্মঘন্টা, নাই কোন ওভারটাইম। আমাদের দাবী উচ্চতর বেতন গ্রেডসহ পদের নাম পরিবর্তন করা। শিক্ষকদের ন্যায় শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনুযায়ী ৩য় শ্রেণির কর্মচারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা, স্কেল পরিবর্তন, কর্মচারীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কম্পিউটারসহ বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চতর ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা এবং অনার্স, মাস্টার্স কলেজের প্রতি বিভাগে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের পদ সৃষ্টি করা। আলোচনার মাধ্যমে বর্ণিত দাবীসমূহ অনতিবিলম্বে মেনে নেয়ার আহ্বান জানাই। অন্যথায় দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবিচ্ছেদ্য অংশ, প্রায় পঞ্চাশ হাজার তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের মানবেতন জীবন যাপনের অবসান কোনভাবেই সম্ভব নয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন