ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় ভুয়া শিক্ষক নিবন্ধন ও বিপিএড প্রশিক্ষণ সনদে ৬ বছর শিক্ষকতার পর অবশেষে ধরা খেয়েছেন সানুরা আলিম মাদরাসার সহকারী শিক্ষক শরীরচর্চা মো. মাজাহারুল ইসলাম। ঘটনাটি টানা ৫ দফা তদন্তে প্রমাণিত হলে ওই শিক্ষক কর্তৃক গৃহীত বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগারে ফেরতের নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে গত ২ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি এই আদেশ। এনিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ভেতরে-বাইরে।
অভিযোগ উঠেছে, ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে অভিযুক্ত শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে পদে বহাল থাকার পাঁয়তারা করছে। তবে এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সানুরা আলিম মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. মোজাম্মেল হক বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ২০১৯ সালের ২৭ মে ওই শিক্ষকের সরকারি বেতন-ভাতা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এখন ওই অভিযুক্ত শিক্ষক নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে পদে বহাল থাকার পাঁয়তারা করছে।
সংশ্লিষ্ট অধ্যক্ষ মো. এমদাদুল হক বলেন, বেতন স্থগিতের পর অভিযুক্ত শিক্ষক তার নিয়োগের তারিখ জাল-জালিয়াতি করে পরিবর্তন দেখিয়ে উল্টো আবেদন করেছিল। তদন্তে তার জালিয়াতি প্রমাণিত হয়েছে। এখন সে উচ্চ আদালতে মামলা করে বিষয়টি কালক্ষেপণের চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরের অডিট ও আইন শাখার সহকারী পরিচালক নাজনীন সুলতানা জানান, মন্ত্রণালয় থেকে ওই শিক্ষকের বেতন বন্ধের কোন চিঠি এখনো পাইনি।
বরং সংশ্লিষ্ট আইন শাখা থেকে বেতন বন্ধের কারণ জানাতে চিঠি দেয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের বেতন বন্ধে মন্ত্রণালয়ের লিখিত আদেশ পেলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন