সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
মানিকগঞ্জের সিংগাইরের পৌর এলাকার আজিমপুর মহল্লার সিরাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে সরকারি চাকরি বাগিয়ে নিয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। উক্ত দম্পতি এখন বহাল তবিওতে দাপটের সাথে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করছে। নিচ্ছে সরকারি সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা। সূত্র জানায়, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি পাওয়া সিরাজুল ইসলাম বর্তমানে উপজেলার সায়েস্থা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার রয়েছে সিংগাইর সদর ইউনিয়নের গোবিন্ধল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সূত্র আরো জানায়, সিরাজুল তার মৃত পিতা দেওয়ান রফিকুল ইসলামের নামে মুক্তিযোদ্ধা জাল সার্টিফিকেট বানিয়ে স্বামী-স্ত্রী দু’জনই মুক্তিযোদ্ধার কোঠায় চাকরি বাগিয়ে নেয়। সিংগাইর উপজেলার একাধিক মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কথা বলে ও মুক্তিবার্তায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর এলাকার আজিমপুর মহল্লার দেওয়ান রফিকুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধে কখনও অংশগ্রহণ করেননি বিদায় মুক্তিবার্তা ও গেজেটে তার নাম নেই। উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সিরাজুল-২০০৭ সালের ১ জুলাই ও তার স্ত্রী একই বছরের ৭ জানুয়ারি একই পন্থায় চাকরি বাগিয়ে নেয়। এ নিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবাবের সদস্যরা বিভিন্ন প্রশ্ন তুলেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেওয়ান রফিকুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। জীবিত থাকাকালীন জীবন দশায় নিজেকে কখনও মুক্তিযোদ্ধা দাবিও করেননি। তার মৃত্যুর পর প্রসাশনের কাছে সুবিধাভোগী পুত্র ও স্ত্রী তো দূরের কথা পরিবাবের কেউই দাবি করেননি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের। এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ আবুল বাশার বলেন, মুক্তিবার্তা ও গেজেটে তার নাম না থাকায় দেওয়ান রফিকুল ইসলাম নামের আমাদের কোন মুক্তিযোদ্ধা নেই। উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাবশিরা ইসলাম (লিজা) মুঠো ফোনে বলেন, ঘটনাটি সত্য প্রামাণিত হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নিবেন সেটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে এখানে আমার ব্যক্তিগত কোন মতামত নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন