শুষ্ক ত্বকের সমস্যা ‘জেরোসিস’ নামেও পরিচিত। এটি এমন এক ত্বকের অবস্থা, যা ত্বকের বাইরের স্তরে আর্দ্রতার অভাব ঘটায়। চিকিৎসা না- হলে শুষ্ক ত্বকে ফাটল, সাদা দাগ এবং সংক্রমণ দেখা যায়। শুষ্ক ত্বক সাধারণত গরম বা ঠান্ডা আবহাওয়া, গরম পানিতে গোসল এবং কম আদ্রতার পরিবেশগত কারণেও ঘটে। শুষ্ক ত্বক সাধারণত অস্থায়ী এবং শীতকালে এই সমস্যা বাড়ে। অতএব শুষ্ক ত্বক আর্দ্র রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শুষ্ক ত্বকের জন্য একটি দুর্দান্ত ঘরোয়া প্রতিকার হলো মধু। মধু খুবই ময়শ্চেরাইজিং এবং শুষ্কতা কমিয়ে ত্বক নরম করতে সাহায্য করে। মধুতে অনেক ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এবং এতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। আপনি ফেস মাস্ক হিসাবে কাঁচা মধু প্রয়োগ করতে পারেন। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে তিনবার মধু প্রয়োগ করলে আপনার ত্বকের শুষ্কতা এবং সাদা দাগগুলি অনেকটাই হ্রাস পাবে।
ওটমিল এমন এক প্রাকৃতিক উপাদান যা শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসার জন্য উপকারী। গোসলের সময় গুঁড়ো ওটমিল যোগ করলে বা ওটমিলযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বকের উপশমে সাহায্য করতে পারে। কাঁচা দুধ এবং ওট মিশিয়ে প্যাকও বানাতে পারেন।
যদি ত্বকে চুলকানি বোধ করেন এবং আপনার ত্বকে সাদা দাগ দেখতে পান তবে ঠান্ডা দুধ ব্যবহার করতে পারেন। কাঁচা দুধ একটি কাপড়ে ভিজিয়ে তা পাঁচ থেকে দশ মিনিটের জন্য আপনার ত্বকে প্রয়োগ করুন। দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড আপনার শুষ্ক ত্বকের জন্য বিষ্ময়কর ভাবে কাজ করে।
আমরা সবাই নারকেল তেলের বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা জানি। শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসা করতে দুর্দান্ত কাজ করে প্রাকৃতিক নারকেল তেল। নারকেল তেল শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসার জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর। এই তেল উল্লেখযোগ্যভাবে ত্বকের হাইড্রেশন উন্নত করে এবং লিপিডের (চর্বি) সংখ্যা বৃদ্ধি করে।
মুখের ত্বকে দই প্রয়োগ করলে মুখে ময়েশ্চারের পরিমাণ ঠিক থাকে এবং ব্রেকআউটের বিরুদ্ধে তা লড়াই করতে পারে। মুখে দই প্রয়োগ করলে তা আপনার ত্বক নরম এবং ময়েশ্চারাইজড রাখতে সহায়তা করে। এটি আপনার ত্বককে একটি মসৃন টেক্সচার দেয়। আপনার ত্বকে সাদা দই প্রয়োগ করে পনেরো মিনিটের জন্য ছেড়ে দিন। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। শুষ্কতা হ্রাস করতে সপ্তাহে কয়েকবার বা প্রতিদিনই দই প্রয়োগ করতে পারেন, যা খুবই কার্যকর ও নিরাপদ।
আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক -কলামিস্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন