শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

রংপুর চিনিকলের এমডি ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ

৯০ শ্রমিক কর্মচারীকে ছাঁটাই

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

গাইবান্ধার কৃষিভিত্তিক একমাত্র ভারিশিল্প কারখানা মহিমাগঞ্জের রংপুর চিনিকলের ৯০ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে ছাঁটাই করার প্রতিবাদে গতকাল শনিবার সকাল সোয়া নয়টা থেকে বেলা সোয়া একটা পর্যন্ত চার ঘণ্টা ব্যবস্থাপনা পরিচালককে তার অফিসে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। এ সময় চিনিকলের অন্যান্য বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও আটকে পড়েন সেখানে। খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার একদল পুলিশ এসে সেখানে অবস্থান নেয়। শ্রমিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভের তীব্রতা বাড়লে গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আারও কয়েকজন পুলিশসহ এসে উত্তেজিত শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন। বেলা একটায় গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মতিন টেলিফোনে শ্রমিক নেতাদের সাথে কথা বলে দ্রুত এ সমস্যার সমাধানের আশ^াস দিলে সোয়া একটায় অবরোধ তুলে নেন শ্রমিকরা।
শ্রমিক নেতারা বলেছেন, সরকারি নিয়োগ বিধি মেনে করপোরেশনের সদর দপ্তরের প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত কমিটির কাছে পরীক্ষা দিয়ে প্রায় এক যুগ ধরে চাকরি করছেন (কাজ নাই, মজুরী নাই) ভিত্তিতে নিয়োজিত শ্রমিক-কর্মচারীরা। সেখানে বছরের শেষ দিনে মৌখিক নির্দেশে কারও চাকরি যেতে পারে না। অন্যায় এ সিদ্ধান্ত শ্রমিকরা কোনভাবেই মেনে নেবে না।
রংপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে অবরোধ চলাকালে শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আবু সুফিয়ান সুজা অভিযোগ করে বলেন, গত ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প সংস্থার চীফ অব পার্সোনেল মো. রফিকুল ইসলাম প্রেস রিলিজে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন, আখ মাড়াই স্থগিত হওয়া চিনিকলগুলোর কোন শ্রমিক-কর্মচারীর চাকরি যাবে না। তাদের বেতনভাতা আগের মতই নিয়মিত প্রদান করা হবে। কিন্তু কোন প্রজ্ঞাপন বা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এ চিনিকলের কারখানা বিভাগের ৯০ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হয়েছে বলে ৩১ ডিসেম্বর মৌখিকভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এটা কেউ মেনে নেবে না।
এ দিকে টানা পাঁচ মাস বেতন বকেয়া থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করা শ্রমিকরা হঠাৎ চাকরি হারিয়ে অথৈ জলে পড়েছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে শ্রমিকদের চাকরি না থাকার কারণ চিনিকল কর্তৃপক্ষ এখনও চাষিদের জমি থেকে আখ সংগ্রহ করতে না পারায় ক্ষেতে আখ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কারণে প্রতিদিন বিপুল অঙ্কের লোকসানে পড়তে বাধ্য হচ্ছেন আখচাষিরা। ইতোমধ্যে অনেক জমির আখ শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। সময় মত আখ কাটতে না পারায় ওই জমিতে অন্য ফসলও আবাদ করতে পারছেন না তারা বলে অভিযোগ করেছেন।
রংপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নূরুল কবির জানিয়েছেন, আখ মাড়াই বন্ধ হওয়ায় কারখানায় কোন কাজ না থাকায় (কানামনা) ভিত্তিক ৯০ জন শ্রমিককে প্রথম পর্যায়ে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তবে এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সদর দপ্তরে আলোচনার জন্য ঢাকায় এসেছি। সেখান থেকে অনুমতি নিয়ে এসে তাদের নিয়োজিত করার চেষ্টা করবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন