শেরপুর পৌরসভার নবীনগর মহল্লার রোয়া বিলে প্রতি বছরই অনুষ্ঠিত হয় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা। এখানে দুইশ’ বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসছে এ পৌষ মেলা। এবছরও আয়োজন করা হয় এ মেলার। শেরপুর শহরের প্রবেশ মুখেই অবস্থিত রোয়া বিল। পৌর এলাকার নবীনগর মহল্লায় এ বিলের অবস্থান। এ বিলটি ঐতিহ্যবাহী বিল হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেছে, এখানে প্রতিবছরই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা অনুষ্ঠানের জন্য। প্রতি বছরই পৌষ মাসের শেষ দিনে অনুষ্ঠিত হয় মেলা। তবে বোরো ধান রোপন সিজন এসে পড়ায় এ বছর পৌষের মাঝামাঝি সময় গত শুক্রবার মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ পৌষ মেলাটি প্রায় দুইশ’ বছর ধরে চলে আসছে বলে স্থানীয়দের দাবি। নবীনগর মেলা উদযাপন কমিটির আয়োজনে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। পৌষ মেলায় ঘোড়দৌড়, সাইকেল রেস, গাঙ্গি বা কুস্তি খেলা ও নারীদের মিউজিক্যাল চেয়ারসহ গ্রামীণ বিভিন্ন খেলা ও প্রতিযোগিতা অনুুষ্ঠিত হয়।
এ পৌষ মেলায় গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী মুখরোচক খাবার, মুড়কি-মুড়ি, মোওয়া, নিমকি, গজা, কলাই, বাদাম কটকটি, তিলের খাজা এবং প্লাস্টিক ও মাটির তৈরি শিশুদের বিভিন্ন খেলনা এবং নারীদের বিভিন্ন প্রসাধনীসহ গৃহস্থালির বিভিন্ন পণ্যের পসড়া বসে মেলায়। এ পৌষ মেলায় করোনা মহামারীর এ সময়ে শেরপুর টাউনসহ এর পাশেপাশের এলাকা থেকে বিপুলসংখ্যক নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণি, শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষের ঢল নামে।
এদিকে মেলাকে ঘিরে শেরপুর টাউনের নবীনগরসহ আশেপাশের এলাকায় প্রতি বছরই উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। প্রায় দুইশ’ বছর ধরে চলে আসা এ মেলা ধরে রাখার জন্য প্রতি বছরই আয়োজন করা হয়ে থাকে। আগামীতেও এটা ধরে রাখার প্রত্যয় মেলা উদযাপন কমিটির। শেরপুর পৌরসভা ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মেলা উদযাপন পরিষদের সদস্য মো. নজরুল ইসলাম জানান, আমাদের ঐতিহ্যবাহী এ মেলা প্রতি বছরই পালন করা হবে। আর এ মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য শেরপুর পৌরসভা পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে বলে জানালেন, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন।জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিকের কন্যা ডা. শারমিন রহমান অমি জানান, আমাদের গ্রাম বাংলার খেলাগুলো আমরা এ মেলায় দেখতে পাই। এছাড়া নানা ধরনের পিঠাও খেতে পারি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন