পান্থপথ বক্স কালভার্ট হতে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে মোট ৯৪ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। গতকাল দিনের বেলায় পান্থকুঞ্জ পার্কের দুটি ড্রেনেজ পিট হতে ম্যানুয়ালি ১৬ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে আর রাতের বেলা পান্থপথের বাকি তিনটি ড্রেনেজ পিট হতে ৭৮ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে পান্থপথ বক্স কালভার্টের পাঁচটি ড্রেনেজ পিট হতে সর্বমোট ৯৪ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

এছাড়া গতকাল রাত ১১টা থেকে পান্তপথ বক্স কালভার্টের পান্থকুঞ্জ অংশের ড্রেনেজ পিটগুলোতে ড্রেজারের মাধ্যমে বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এদিকে নগরীর শ্যামপুর, জিরানি, মান্ডা ও কালু নগর খালে পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনার প্রাথমিক কার্যক্রম হিসেবে ম্যানুয়ালি বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়াও একইসাথে শ্যামপুর, জিরানি ও মান্ডা খালের সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রমও পরিচালনা করা হচ্ছ। খালগুলোর বর্জ্য অপসারণ ও সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রমে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৮০ জন শ্রমিক অংশ নিচ্ছে।

গতকাল রাত ১১টায় সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্টের টিটিপাড়া আউটলেট হতে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু হবার কথা রয়েছে। নগরীর বক্স কালভার্ট ও খাল হতে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর বদরুল আমিন বলেন, ডিএসসিসির মেয়য়ের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা পান্থপথ বক্স কালভার্ট থেকে গত শনিবার হতে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেছি। সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করব।

এ প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে মেয়র মহোদয়ের অভিপ্রায় ও নির্দেশনার আলোকে আমরা নগরীর শ্যামপুর, জিরানী ও মান্ডা খালে প্রাথমিকভাবে পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেছি। একই সাথে পান্থপথ বক্স কালভার্টের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পুরোদমে চলমান রয়েছে। সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্টের বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে টিটিপাড়া আউটলেট হতে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, আগামী মার্চের মধ্যে এই তিনটি খাল ও দুটি বক্স কালভার্ট হতে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।