মাগুরা সদর উপজেলার জগদল গ্রামের দমদমা পাড়ার নির্মাণ শ্রমিক পলাশ হাসানের স্ত্রী সোনালি বেগম (৩০) সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে জোড়ামাথা বিশিষ্ট শিশুটির জন্ম দেন। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাঃ অমর প্রসাদ বিশ্বাস জানান, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ভূমিষ্ঠ শিশুটির মাথা দুটি সক্রিয় রয়েছে। কান্নাকাটিও করছে। আপাত দৃষ্টিতে সুস্থ মনে হলেও শ্বাসকষ্ট রয়েছে। সেই অনুযায়ী চিকিৎসাও দেয়া হচ্ছে। তবে খুব শিগগিরই নিবিড় পর্যবেক্ষণ এবং চিকিৎসার জন্যে শিশুটিকে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
শিশুটির বাবা পলাশ হাসান জানান, মাগুরা শহরের মা প্রাইভেট হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। সেখানে ডাক্তার মাসুদুল হক সিজার করার পর দেখা যায় শিশুটি স্বাভাবিক নয়। যে কারণে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি জানান, বিকাল ৫টার দিকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও হাসপাতালে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ জয়ন্ত কুণ্ডু অনুপস্থিত থাকায় ইন্টার্ন চিকিৎসক সুকমল হালদার তাকে পর্যবেক্ষণ করছেন। এখন তাদের ওপরই সব নির্ভর করছে। তারা এখানে চিকিৎসা না করলে যেখানে যেতে বলেন নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান শিশুটির বাবা।
৮ বছর আগে পলাশ হাসান সোনালি বেগমকে বিয়ে করেন। ৬ বছর আগে তাদের প্রথম একটি পুত্র সন্তান জন্ম হয়। তামিম নামের ওই শিশুটি অন্যান্য শিশুদের মতো সুস্থ এবং স্বাভাবিক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন