পাখির বিষ্টায় পরিবেশ নোংরা অযুহাতে সম্প্রতি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরের কড়ই গাছের ডাল কেটে দেয়ায় ঘটনায় দেশজুরে সৃষ্টি হয় বিতর্কের। এ ঘটনায় পাখিপ্রেমী মানুষের তাৎক্ষণিক প্রতিবাদে বাকিগাছগুলো রক্ষা পায়। তবে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ের কর্মচারীরা। একইভাবে পাখির মলত্যাগে মঞ্চের পরিবেশ নষ্ট হয় তাই পাখি তাড়াতে একটি পুরনো গাছের ডাল কেটে দেন তারা। ঘটনাটি ঘটে গত ৩ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে উপজেলা পরিষদ চত্বর এলাকায়।
সরেজমিনে জানা যায়, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে থাকা ২০ বছরের পুরনো একটি কড়ই গাছকে ঘিরে ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর কড়ইতলা নামে মঞ্চ তৈরি করেন প্রশাসন। এ কড়ই গাছের নিচে সরকারি বিভিন্ন দফতরের সেবা নিতে আসা লোকজন অপেক্ষা করতেন।
প্রথমে বসার পরিবেশ না থাকায় গাছটির চারদিকে পাকা করে বসার ব্যবস্থা করেন। পরে তা মঞ্চ ঘোষণা দিয়ে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু জাফর রাশেদ কড়ইতলা মঞ্চ প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর উন্মুক্তভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি এখানেই সম্পন্ন করে আসছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে বিপত্তি ঘটে অবাধ পাখির বিচরণে। এ কড়ই গাছের ডালপালায় টিয়া, শালিক, ময়না, বকসহ নানা জাতের পাখির বাসা তৈরি করায় পাখির মল ওই মঞ্চে পড়ায় সাধারণ লোকজন সেখানে বসতে পারে না। এসব নানা কারণে উপজেলা প্রশাসনের কতিপয় কর্মচারীরা গাছটি কেটে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ে কর্মরত এক কর্মচারী জানায়, গাছটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাস ভবনের সামনে থাকায় পুরনো ডালপালায় করা পাখির বাসা থেকে ময়লা আবর্জনায় পরিবেশ নোংরা করে ফেলে।
পরে এ গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেয় ইউএনও নিজেই। তবে কড়ইতলা নামের স্বার্থকতা থাকবে না ভেবে গাছটি না কাটার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। অপরদিকে এ কড়ই তলার নাম ও স্বার্থকতা বজায় রাখতে গাছটির কান্ড রেখে বিশেষ ব্যবস্থায় টিন সেট তৈরি করে মঞ্চের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহানের কাছে এ বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন