শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

বিচারকাজে বিচারক-আইনজীবীর শিষ্টাচার

অ্যাডভোকেট সিরাজ প্রামাণিক | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০৭ এএম

ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট রুবেল আহমেদ ভূঁইয়াকে গত ২২ ডিসেম্বর এজলাসের লকআপে ২ ঘণ্টা আটক রাখার প্রতিবাদে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সামনে বিক্ষোভ করেন আইনজীবীরা। এসময় তারা সিএমএম আদালতের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন এবং আদালত বর্জন করেন। পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে মামলা করতে যান ওই আইনজীবী। এরপর পেশকারকে জিজ্ঞেস করেন, কয়টার সময় বিচারক এজলাসে আসবেন। পেশকার বললেন, সাড়ে ১০টায় বিচারক এজলাসে উঠবেন। কিন্তু ১১টার পরেও বিচারক এজলাসে না আসায় ওই আইনজীবী পেশকারকে বলেন, সঠিক সময় বলবেন। এরপর আদালত এজলাসে আসার পর মামলা শুনানির জন্য ডাক দিলে ওই আইনজীবী সামনে যান। তখন বিচারক ভুক্তভোগী আইনজীবীকে বলেন, আপনি কোর্টে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। তখন ওই আইনজীবী বলেন, তিনি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেননি। এরপর বিচারক বলেন, আমি আপনার মামলা শুনবো না। তখন পুলিশ আইনজীবীকে ডেকে লকআপে ভেতর দুই ঘণ্টা আটকে রাখে।

এ নিয়ে আবেগ-উত্তাপ ও যৌক্তিক তর্ক-বিতর্ক কম হয়নি চায়ের দোকান থেকে পত্রিকার কলাম পর্যন্ত। বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ, আইনবিভাগ, আইনজীবী, সাংবাদিক, সুধীজন সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে এ নিয়ে বিরুপ মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও হয়েছে এ ঘটনার তীব্র সমালোচনা।

একজন বিচারকের ৪০ দফা আচরণ বিধির মধ্যে রয়েছে, ‘একজন বিচারকের আচরণ এমন উচ্চ মানের হতে হবে, যাতে বিচার বিভাগের সততা ও স্বাধীনতা সমুন্নত থাকে।’ ‘একজন বিচারক আইন ও সংবিধানকে সম্মান করবেন ও মেনে চলবেন এবং এমনভাবে কাজ করবেন যাতে বিচার বিভাগ সম্পর্কে জনগণের আস্থার উন্নতি ঘটে।’ ‘একজন বিচারক আদালতের বিচার কাজ দ্রুত শেষ করবেন এবং রায়/আদেশ দানের ক্ষেত্রে অযথা বিলম্ব পরিহার করবেন। ব্যতিক্রমী রায় ছাড়া অন্য রায় ঘোষণার ছয় মাসের বেশি নয়, এমন সময়ের মধ্যে স্বাক্ষর করতে হবে।’ ‘বিচার শুধু করলে হবে না, বিচার করা হয়েছে সেটা দেখাতেও হবে। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা নিয়ে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস থাক, এমন আচরণ করতে হবে।’

আমরা সবাই জানি, আইনজীবী এবং বিচারকদের সম্বলিত প্রচেষ্টায় বিচার বিভাগ এগিয়ে যেতে পারে। বিচারক ও আইনজীবী পরস্পরের প্রতি সম্মানবোধ থাকা জরুরি। একজন আইনজীবী সম্পর্কে বেঞ্চের ভাল ধারণা থাকা ওই আইনজীবীর জন্য সম্পদ। একই কথা প্রযোজ্য একজন বিচারকের বেলায়ও। অর্থাৎ আইনজীবী ও বিচারক হচ্ছেন একটি পাখির দুটি পাখার মতো। বাম হাত ও ডান হাতের মতো। তাদের পরস্পরের প্রতি আস্থার সম্পর্ক বিচার ব্যবস্থার গুণগত মান বৃদ্ধি পায়।

আইনজীবীদের সংগে আচরণ সম্পর্কিত নিয়ম-৭ বলা আছে, ‘বিচারকগণ অবশ্যই আইনজীবীগণের সাথে সৌজন্যমূলক ব্যাবহার করিবেন এবং তাঁহাদের অধীনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন যাহাতে বিচারপ্রার্থী জনগন, আইনজীবী, সাক্ষী প্রভৃতি ব্যাক্তিগণের সহিত সদ্ব্যবহার করেন সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখিবেন।’

পৃথিবীর সর্বত্রই আইন পেশা একটি সম্মানজনক পেশা হিসেবে স্বীকৃত। একে রয়েল প্রোফেশন বলা হয়। এই আইন পেশার মানুষকে ‘সমাজ কৌশলী’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়। কারণ, সমাজের নানা বিষয়ে অসংগতি ও বৈষম্য দূর করতে একজন আইন পেশাজীবীকে রাখতে হয় অগ্রগামী ভূমিকা। অতি সম্মানের নিদর্শন স্বরূপ একমাত্র ‘অ্যাডভোকেট’ ও ‘বিচারক’ শব্দের পূর্বে ‘লার্নেড’ বা ‘বিজ্ঞ’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়। বিচারক হচ্ছেন বিচারকারী আর আইনজীবী হচ্ছেন বিচারকার্যে সহায়তাকারী। কখনও কখনও আইনজীবী বিচারকের শিক্ষক। আর একজন আইনজীবী যখন বিচারকের সামনে দাঁড়ান তখন কিন্তু পক্ষান্তরে বিচারপ্রার্থীই দাঁড়ান। তাই উভয়পক্ষেরই শিষ্টাচার দরকার। এছাড়া একজন বিচারকের প্রশাসনিক বিষয়ে সমালোচনা বা প্রতিবাদ করতে আইনে বাঁধা নেই। বিচারকের যেমন ব্যস্ততা রয়েছে তেমনি একজন আইনজীবীকে বিচারপ্রার্থীর মামলায় বিভিন্ন কোর্টে লড়তে হয়। কাজেই বিচারককে আদালতের সময় মানা উচিৎ। উচ্চ আদালতে অনেক সময় বিচারকগণ এজলাসে উঠতে দেরী হলে বিচারক শুরুতেই এর কৈফিয়ত দিয়ে নেন। এটাই শিষ্টাচার।

লর্ড ম্যাকমিলানের মতে, ‘অন্য কোন পেশা মানবজীবনকে এত স্পর্শ করে না।’ একজন অ্যাডভোকেট তার অবস্থানের প্রেক্ষিতে আদালতে অফিসার এবং বিশেষ অধিকার প্রাপ্ত শ্রেণীর অন্তর্গত। সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তার অবদান ও তার মক্কেলকে পেশাগত উপদেশ প্রদানের জন্য জনসাধারণের ওপর তার প্রভাব অত্যন্ত প্রখর। আর এ প্রভাবের কারণেই ভালো হোক অথবা মন্দ হোক যে কোন কাজই সমাজের অন্যান্য ব্যক্তির চেয়ে একজন আইনজীবীর কর্মকান্ড, দৃষ্টান্ত ও আর্দশ সমাজের ওপর অনেক বেশি কার্যকর। আইনজীবীরা আদালতে বিনীতভাবে সততার সাথে তার মক্কেলের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে বিচারককে সরাসরি সহায়তা প্রদান করেন বিধায় তারা আইন আদালতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।

অসংখ্য মৌলিক আইন গ্রন্থের প্রণেতা মরহুম গাজী শামসুর রহমান বলেছিলেন, কোন মানুষ ভ্রমের ঊর্ধ্বে নয়, সম্ভবত বিচারকও। বিচারকের ভ্রম ধরিয়ে দিতে পারে শুধু সেই ব্যক্তি যিনি জ্ঞানে, গুণে, মর্যাদায় এবং অবস্থানে বিচারকের সমকক্ষ। সেই ব্যক্তিই অ্যাডভোকেট।

প্রচলিত আইনে এবং বিভিন্ন নজিরসমূহ থেকে সুপ্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞ অ্যাডভোকেটগণ আদালত অঙ্গনে যেসব বিশেষাধিকার ভোগ করেন তার একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরা হলো:

একজন অ্যাডভোকেট যখন তার মক্কেলের মামলা পরিচালনা করেন, তখন যদি আদালত অর্থাৎ বিচারক তার আচরণ নিয়ে মন্তব্য করেন, তবে আদালত অবমাননার অপরাধ হতে পারে। (৩৫সি, ডব্লিউ, এন ১৮৯)।

যদি আদালত কোন মোকদ্দমা শুনানিকালে পুলিশ গার্ড ডাকেন এবং কোন যথার্থতা ছাড়াই আইনজীবীকে আদালত কক্ষ হতে বের করে দেন তবে তা আদালত অবমাননার শামিল। (Prag Das Advocate V.Sir P.C. Agrwal’১৯৭৫ ALI .L.J.৪১; ১৯৭৫ Cr. L. J. ৬৫৯)

উচ্চ আদালতের স্থগিত আদেশের বিষয়ে অ্যাডভোকেট কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র কোন আদালতে দায়ের হলে সে আদালতের উচিত উক্ত প্রত্যয়নপত্র অনুযায়ী মোকদ্দমা স্থগিত করা। কারণ অ্যাডভোকেট আদালতের একজন অফিসার এবং ঐ প্রত্যয়নপত্রের দায়-দায়িত্ব তিনি বহন করেন। অ্যাডভোকেটের প্রত্যয়নপত্রে প্রদত্ত তথ্যের সত্যতা নিরূপণের চেষ্টা না করে তাকে অবিশ্বাস বা নাকচ করে দেয়া আদালত অবমাননার অপরাধ হবে। [Harikishan Sing V. Chhotan Mahton AIR ১৯৫১ Pat. ৪৯০; ১৯৫১ (Vol. ৫২) Cr. LJ, ৬৩৮]

অ্যাডভোকেটের বিরুদ্ধে তার মোকদ্দমা পরিচালনার ব্যাপারে মিথ্যা দুর্নাম রটানো যা তাকে এ মোকদ্দমা পরবর্তী পরিচালনা করতে বিব্রত করে তা আদালত অবমাননা হিসেবে চিহ্নিত হবে। (Anantalal Singha V. Alfred Henry Watson (১৯৩০) ৫৮ Cal. ৮৮৪)

বিচারাধীন মামলায় আইনজীবী যাতে তার দায়িত্ব পালন করতে না পারেন তজ্জন্যে অ্যাডভোকেটকে অপমান করা আদালত অবমাননা। (Thirumalaippa V. Kumaraswami, AIR ১৯৫৬, Mad. ৬২১ (১৯৫৬) I. L.R. Mad. ১২৩৯)
আইনজীবীরা যে সকল বিচার বিভাগীয় বিশেষ সুবিধা ভোগ করার অধিকারী:
মামলা চলাকালীন সময় আইনজীবীর বিবৃতি বিশেষ সুবিধার অন্তর্গত। তার এ অধিকার নিম্নবর্ণিত নীতিমালা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
১। কোন আইনজীবী যখন কোন মামলা পরিচালনা করেন তখন তিনি নিরংকুশ বিশেষ সুবিধা ভোগ করেন।
২। যদি কোন অ্যাডভোকেট বিশ্বস্ততার সাথে মামলা চলাকালে মানহানিকর বিবৃতি দেন তার জন্য তিনি দায়ী হবেন না।
৩। তার বিরুদ্ধে কোন মামলা দায়ের করা যাবে না।
৪। মামলা চলাকালে অ্যাডভোকেট যদি বাদীকে মিথ্যাবাদী ও ধাপ্পাবাজ বলেন তাহলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না।
৫। যদি কোন অ্যাডভোকেট মামলা চলাকালে সাক্ষীকে বদমাশ বা লম্পট বলে, তাহলেও তার বিবৃতিটিকে বিশেষ সুবিধার অধীন বলে ধরে নেয়া হবে।

অতএব কোন আইনজীবীকে তার আইনবিষয়ক কাজে বা মামলা চলাকালে প্রাসঙ্গিকভাবে মানহানিজনক বিবৃতি প্রদানের জন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না। তিনি যাই বলুন না কেন, তা প্রকৃত সত্য নাও হতে পারে বা অতিরঞ্জন হতে পারে কিন্তু এক্ষেত্রে তিনি বিশেষ সুবিধা ভোগ করবেন।

বিচারাধীন মামলায় একজন আইনজীবী তার মক্কেলের পক্ষে আইনের যুক্তিতর্ক পেশ করার প্রাক্কালে সম্পূর্ণভাবে আইনের স্বাধীনতা পেয়ে থাকেন এবং এজন্যে ঐ সময় যদি সংশ্লিষ্ট মামলাটির MERIT বা গুণাগুণের সাথে সম্পর্কহীন এমন কোন মন্তব্য করা হয় যা ঐ মামলা সংক্রান্ত নয়, বরং সম্পূণরূপে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর পেশাগত চরিত্র বা আচরণ সম্পর্কিত, তাহলে ঐ জাতীয় মন্তব্য আদালত প্রদত্ত রায়ের অংশ হিসেবে রেকর্ডে রাখা যাবে না এবং তা রেকর্ড হতে মুছে ফেলতে হবে। ৩১ ডি, এল,আর (এ.ডি) ১৬৩ (১৯৭৯) ।

কোনো মক্কেলের পক্ষে ন্যায়বিচার না পাওয়ার ব্যাপারে আদালতের ওপর আস্থা হারানোর প্রেক্ষাপট তুলে ধরার অধিকার তার নিযুক্তীয় আইনজীবীর রয়েছে। (M.H. Khondoker V. State (১৯৬০) D.L.R. (SC) ১২৪)
মোকদ্দমার কোন পক্ষ অপর পক্ষের আইনজীবীর প্রতি হুমকি প্রদর্শন করলে আদালত অবমাননা হবে; কারণ এটা বিচার কার্যে বাঁধার শামিল। (State V. Abdul Aziz P.L.D (১৯৬২) Lahore, ৩৩৫)
পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণে আইনজীবীকে দায়ী/অভিযুক্ত করা যায় না: ১৩BLD (AD) ১৫২ একজন আইন উপদেষ্টা তার আইনগত অভিমতের জন্য দায়ী নন। (BLC (১৯৯৬) page ৬৩)
আইনজীবী কর্তৃক মামলা পরিচালনারত অবস্থায় পুলিশ অফিসার কর্তৃক ইশারা দিয়ে ডেকে নিয়ে তাকে গ্রেফতার করা এবং হ্যান্ডকাপ দিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া গুরুতর অবমাননা। (রাজশাহী বার কাউন্সিল-বনাম-নাথুরাম, এ, আই, আর ১৯৫৬ রাজ: ১৭৯ (১৮৪): আই, এল,আর (১৯৬৬) ৬ রাজ: ৯৬৪, ১৯৫৬ সিআর,এল, জে ১৩৫০ (বিডি)।

উদ্দেশ্যমূলকভাবে এবং বিচারকার্যে বাঁধা সৃষ্টির বা অন্য কোন অসৎ উদ্দেশ্যে মামলা দায়ের করার জন্য হাইকোর্টে উপস্থিত হওয়ার জন্য যাওয়ার সময় পুলিশ অফিসার কর্তৃক আইনজীবীকে গ্রেফতার করলে তা আদালত অবমাননার অপরাধ। শুধুমাত্র ভুলবশত এবং সততাপরায়ণ গ্রেফতার অবমাননা হবে না। (Home Rustomji V. Sub-Inspector Baig, AIR ১৯৪৪ Lah ১৯৬ (১৯৯-২০০) ৪৬ cr.LJI (S.B)
‘আদালত’ বলতে বিচারস্থলের সকল অংশসহ আদালতের অফিসার, কর্মচারী ও সাক্ষীদের ব্যবহৃত স্থানকেও বোঝায়। অর্থাৎ যখন কোন আইনজীবী আদালতে কোন মামলায় উপস্থিত হওয়ার জন্য অগ্রসর হন তখন যদি তাকে গ্রেফতার করা হয় তখন আদালতের স্বাভাবিক গতিকে হস্তক্ষেপের শামিল বিধায় তা আদালত অবমাননা হবে। এছাড়া যথার্থ কারণে আইনজীবীকে গ্রেফতার করা আদালত অবমাননা হবে না। তাছাড়া আইনজীবীর চেম্বার আদালতের অংশ বিশেষ হিসেবে বিবেচিত হয়।

আমরা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা অনর্গল বলি। সে চেতনা হলো, আত্মসম্মানবোধ, আত্মনিভর্রশীলতা, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার। একটি উন্নত জাতি হিসেবে যদি আমরা পৃথিবীর মানুষের কাছে পরিচিত হতে চাই, তাহলে বিচারব্যবস্থাকে বিতর্কিত করা চলবে না। তাই বিচারক-আইনজীবী আসুন, সকল ইগো থেকে বেরিয়ে এসে বিচার কাজে মনোনিবেশ করি।
লেখক: বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী, গবেষক ও আইন গ্রন্থ প্রণেতা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন