স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর কাকরাইলে উইলস লিটল স্কুলের ছাত্রীর ওপর হামলাকারীকে গতকাল পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করলেও তাদেরকে সন্দেহ করেননি ভুক্তভোগীর মা। এদিকে বখাটে সন্ত্রাসীর ছুরিকাঘাতে আহত উইলস লিটল স্কুলের ৮ম শ্রেণির ওই ছাত্রীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) তার চিকিৎসা চলছে। ঘটনার ২ দিন পেরিয়ে গেলেও হামলাকারীকে গ্রেফতার করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীটির সহপাঠী, শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ।
গত বুধবার দুপুুরে ছুটির পর বংশালের বাসায় ফেরার পথে স্কুলের সামনের রাস্তায় এক বখাটে সন্ত্রাসী ওই ছাত্রীর পেটে ও পিঠে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা তানিয়া হোসেন বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ধারায় এবং পেনাল কোডে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করে ওবায়দুল খান (২৯) নামে এক ব্যক্তিকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলা নম্বর ৪৪। আসামি ওবায়দুল ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্সের বৈশাখী টেইলার্সের কাটিং মাস্টার।
বাদীর অভিযোগ মাস ছয়েক আগে মায়ের সঙ্গে ইস্টার্ন মল্লিকার শপিং কমপ্লেক্সের বৈশাখী টেইলার্সে যায় ওই ছাত্রী। সেখানে একটি ড্রেস সেলাই করতে দেয় সে। পরে দোকানের রিসিটে বাসার ঠিকানা ও তার মোবাইল নম্বর দেয়। পরে সেই রিসিট থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে টেইলার্সের কাটিং মাস্টার ওবায়দুল খান ছাত্রীকে ফোনে উত্ত্যক্ত করত। পরে সীমটি বন্ধ করে দেয়া হয়। তবুও ওবায়দুল খান ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় ছাত্রীটিকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার এসআই মোশাররফ হোসেন গত রাতে ইনকিলাবকে বলেন, বৃহস্পতিবার মল্লিকার ওই শপিং কমপ্লেক্স থেকে ৪ জনকে ধরে আনা হয়। কিন্তু ছাত্রীর মা তাদেরকে হামলাকারী বলে শনাক্ত না করায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তিনি আরো বলেন, ছাত্রীটির অবস্থা গুরুতর এবং সে আইসিইউতে ভর্তি থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তার সাথে কথা বললে রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি জড়িতকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন