হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার চালিয়ে যেতে চাইলে ফেসবুকের সঙ্গে তথ্য ভাগ করে নিতে সম্মত হতে ব্যবহারকারীদের। একটি পপ-আপ নোটিশ দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ সতর্ক করে বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার চালিয়ে যেতে এই শর্ত হালনাগাদ গ্রহণ করতে হবে, তা না হলে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে হবে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এ তথ্য ।
হোয়াটসঅ্যাপের এই নতুন প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত অনেকেই। এতে বলা হয়েছিল, হোয়াটসঅ্যাপে প্রেরিত মেসেজ ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে জুড়ে থাকা অন্যান্য কয়েকটি অ্যাপ বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মও জেনে ফেলবে। শুধু তাই নয়, ব্যবহারকারীর নম্বর, ফোনে থাকা যাবতীয় যোগাযোগ নম্বর এবং প্রোফাইল নামও জেনে নেবে ফেসবুক। কিন্তু এর পুরোটা সত্যি নয়। এক আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থার সাক্ষাৎকারে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন প্রাইভেসি পলিসি শুধুমাত্র বিজনেস অ্যাকাউন্টের জন্যই প্রযোজ্য। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে শেয়ার করা ব্যক্তিগত তথ্য গোপনই রাখা হবে।
বহুল ব্যবহৃত অ্যাপটি বলছে, ব্যক্তিগত স্তরে ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে এখন ব্যবসায়িক কাজেও ব্যবহার হয় হোয়াটসঅ্যাপ। এর জন্য আলাদা করে ‘বিজনেস অ্যাকাউন্ট’ খুলতে হয়। ব্যবসায়ে সহায়তা করতেই সেই অ্যাকাউন্টের তথ্যাদি ফেসবুকের কাছে পৌঁছে যাবে। ব্যক্তিগত মেসেজিং সুরক্ষিতই থাকবে। কারণ তাতে প্রাইভেসি পলিসি আগের মতোই থাকবে। যাঁরা অ্যাকাউন্ট ডিলিট করবেন কিনা ভাবছিলেন, হোয়াটসঅ্যাপের এই বিবৃতি নিশ্চয়ই তাঁদের স্বস্তি দেবে। সদ্য বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির তকমা পাওয়া এলন মাস্কও হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসি বদল নিয়ে আশঙ্কিত হয়েছিলেন। সবাইকে একই ধরনের আর একটি অ্যাপ ‘সিগন্যাল’ ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। তবে সন্দেহাতীত ভাবে হোয়াটসঅ্যাপ বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত বার্তাপ্রেরক অ্যাপ। এই মুহূর্তে প্রায় ১৪০ কোটি মানুষ তা ব্যবহার করেন।
ফেসবুকের এ পদক্ষেপ অনলাইনে অনেককেই খেপিয়ে দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন স্পেসএক্স ও টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। তিনি ব্যবহারকারীদের আরও প্রাইভেসি সুবিধাযুক্ত মেসেজিং সেবা সিগন্যাল ও টেলিগ্রাম ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন