আদমদীঘির সান্তাহার পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অস্থায়ী ক্যাম্পে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের অভিযোগে ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর, পোস্টার ছেঁড়া ও হুমকি সংক্রান্ত অভিযোগে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে দুই মেয়র প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সান্তাহার পৌরসভা নির্বাচনী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম ও বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন বাদি হয়ে শতাধিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আদমদীঘি থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ঘটনায় পৌরসভায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, গত রোববার রাত ১০টায় বিএনপির ধানের শীষ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেনের পক্ষের ৫০-৬০জন নেতাকর্মী নৌকা প্রতিকের ওই নির্বাচনে ক্যাম্পে অর্তকিত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত নৌকা প্রতিকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা ও অগ্নিসংযোগে পুড়ে ফেলা হয় বলে মামলায় বলা হয়। এ ঘটনায় ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে মেয়র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম মন্টু নিজেই বাদি হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।
অপরদিকে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের মেযর প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেনের ৪টি নির্বাচনী অস্থায়ী ক্যাম্প ভাঙচুর, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা প্রার্থীসহ নেতাকর্মীদের হুমকি প্রদান সংক্রান্ত অভিযোগে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করা হয়। ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি সাজানো। নৌকার মেয়র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থীর অভিযোগ সঠিক নয়। আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দীন জানান, নির্বাচন অফিস থেকে পাওয়া দুই মেয়র প্রার্থীর অভিযোগের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন