শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

আমাদের পাতিনেতারা আমেরিকায় গাড়ি-বাড়ি কিনেছেন

এমপিদের মদের আসরে পুলিশ স্যালুট মারে : বসুরহাট পৌরসভার কর্মীসভায় আবদুল কাদের মির্জা

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিবিদরা বিদেশে টাকা পাচার করছে এমন অভিযোগ করে বসুরহাট পৌরসভায় মেয়রপ্রার্থী মির্জা আবদুল কাদের বলেছেন, আমাদের পাতি নেতারা পর্যন্ত আমেরিকায় গিয়ে গাড়ি কিনেছে, বাড়ি করেছে। সেখানে গিয়ে মাদক, নারী ও ক্যাসিনোকান্ডে জড়িয়ে পড়ছেন। নেত্রী শেখ হাসিনা এ চোরদের কত পাহারা দেবেন? গতকাল বুধবার তার নির্বাচনী অফিসে লাইভ ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ভোট চুরি করতে এলে লাঠি দিয়ে হাঁটুর নিচে মারবেন। বসুরহাট পৌরসভায় নৌকা প্রতীকের মেয়রপ্রার্থী আবদুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই। তিনি বসুরহাট পৌরসভায় একাধিকবার নির্বাচিত মেয়র। কাদের মির্জা বলেন, সামান্য বাংলা মদের খেলে আমরা তাদের (মাদকসেবী) পিটাই, জেলে দিই। আর এমপিদের মদের আসরে গিয়ে পুলিশ স্যালুট মারে। পাহারা দেয়।

বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আ.লীগের মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বলেন, এক ভোট পেলেও সুষ্ঠু নির্বাচন করব। নির্বাচনে গন্ডগোল হলে প্রথম দায় ওবায়দুল কাদের, দ্বিতীয় দায় নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর। তিনি আরো বলেন, ভোটাধিকার হরণ শুরু হয়েছে জিয়াউর রহমানের আমল থেকে। জিয়াউর রহমান হ্যাঁ, না ভোট দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছেন। পরবর্তীতে খালেদা জিয়া মাগুরা উপ-নির্বাচনসহ অনেক নির্বাচনে অনিয়ম করেছেন। এদেশে নির্বাচন সুষ্ঠু করার অনেক দৃষ্টান্ত আছে শেখ হাসিনার এবং তার পক্ষে সম্ভব। বঙ্গবন্ধু ৩০ বছর আন্দোলন করে গেছেন স্বাধীনতা, ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য। ১৬ বছর জেল খেটেছেন বাঙালি জাতির জন্য। ৩ বার ফাঁসির মঞ্চ থেকে ফিরে এসে বাঙালি জাতির জন্য জয়গান গেয়েছেন। সে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আট বছরের শিশু রাসেল ঘাতকদেরকে বলেছিলো আমাকে মেরো না, আমি আমার মায়ের কাছে যাব, কাফেররা তাকেও বাঁচতে দেয়নি, গুলি করে মাথার খুলি উড়িয়ে দিয়েছে। কি নির্মম হত্যাকান্ড। শেখ হাসিনা ভাতের অধিকার নিশ্চিত করেছেন, কিন্তু ভোটের অধিকার নিশ্চিত হয়নি। এটা নিশ্চিত করতে হবে, এটা নিশ্চিত করতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আর কেউ করতে পারবেন না।

তিনি আরো বলেন, নোয়াখালীর তথাকথিত আ.লীগ নেতা একরামুল করিব চৌধুরী আমার বিরুদ্ধে দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, এ নেতা তার ঘনিষ্ঠ নোয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ আজাদকে দিয়ে দুইদিন আগে বিএনপি প্রার্থী কামাল উদ্দিন চৌধুরীর কাছে ৫০ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন আমাদেরকে নির্বাচনে হারিয়ে দেয়ার জন্য। হেরে গেলেও স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়ে সবাইকে মিষ্টি খাইয়ে বাড়ি চলে যাব। অবৈধ নির্বাচন করব না, যদি অবৈধ নির্বাচনের পক্ষে থাকি, আল্লাহ যেন আমাকে ১৬ তারিখ ভোটের দিন মৃত্যু দেন। তিনি বলেন, নেত্রীর পক্ষ থেকে আমার ওপর কোন চাপ নেই। বসুরহাট পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে চাঁন মিয়া বাড়িতে নির্বাচনী গণসংযোগ করতে গেলে একজন স্বল্প শিক্ষিত মহিলার কাছে ভোট চাইতে গিয়েছিলাম, মহিলা আমাকে বললেন আপনি কেন ভোট চাইতে এসেছেন তখন ভয় পেয়ে গেলাম তিনি বললেন জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করছেন। আমার কাছে ভোট চাইতে আসবেন না, আমি আপনাকে ভোট দিব।

মির্জা বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাপের বেটি, তার সৎ সাহস আছে, তিনি পারবেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে, এদেশের মানুষের হৃদয়ের মনিকোঠায় চিরদিন স্থান করে নিতে। ভোটের পর নেত্রীর সাথে দেখা করতে যাব, করোনার কারণে না পারলে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে মানববন্ধন করব, আবারও বলছি বৃহত্তর নোয়াখালীতে ১৩টি আসনে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আ.লীগ ৩-৪টা আসন পাবে। অন্য আসনগুলোতে প্রার্থীরা দরজা খুলে পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। একথাগুলো বলছি তাদেরকে সংশোধন হওয়ার জন্য, সংশোধন না হলে আগামী নির্বাচনে বড় ধরনের খেসারত দিতে হবে। যখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলি, ভোট চুরি, এলাকায় গ্যাস, ছেলে মেয়েদের চাকরির কথা, শাহজাদপুর ও হাবিবপুরের গ্যাস ক্ষেত্রের নাম সুন্দলপুর রাখা হয়েছে এটার বিরুদ্ধে কথা বলি, নোয়াখালীর অপ-রাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলি, চাকরি দেয়ার নামে গরিব পুলিশ থেকে ৫ লাখ টাকা, পিয়ন থেকে চাকরির নামে ৩ লাখ টাকা নেয়ার কথা বলি তখল তারা আমাকে বলে আমি নাকি পাগল ও উম্মাদ। আমি বলি নোয়াখালী ও ফেনীর অপরাজনীতির কথা আমাকে জাতীয় রাজনীতিতে টেনে নিয়ে যায়।

মির্জা আরও বলেন, আগামী ১৬ তারিখ পর্যন্ত আমার নাম আপনাদের হৃদয়ে লিখে রাখবেন। এরপর আপনারা যে দল করুন না কেন? জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম হৃদয়ে ধারণ করবেন। ধারণ না করলে বিশ্বের দরবারে অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে পরিগণিত হব। কারণ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েছেন, অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। আমি করোনার সময় পাহাড়ের মত ছিলাম তখন এসমস্ত নেতারা কোথায় ছিল, যারা আমার প্রতিদ্ব›িদ্ব।

তিনি গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় বসুরহাট পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে নৌকা মার্কার সমর্থনে কর্মীসভায় এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডা. মাহবুব রসুল, আ.লীগ নেতা আইয়ুব আলী, ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী বেলায়েত হোসেন বেলাল, সংরক্ষিত ৪, ৫, ৬ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মাকসুদা আক্তার হ্যাপি প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
মোঃ দুলাল মিয়া ১৪ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:৪৭ এএম says : 0
আরে ভাই মিঠে মিঠে কথা বলে সারর্থ উদ্ধার করার জন্য। ................ একবার এই কথা আবার সেই কথা আবার হিতাকাঙ্ক্ষী এই সব জনগণ বুঝেন। ..................
Total Reply(0)
Dilwar Husain ১৪ জানুয়ারি, ২০২১, ৩:১৭ এএম says : 0
বুঝলাম না কাকু কোন খেলা খেলতাছেন!
Total Reply(0)
Monsur Ahmed ১৪ জানুয়ারি, ২০২১, ৩:১৭ এএম says : 0
সত্য কথা বলেছেন
Total Reply(0)
Mehedi Hasan ১৪ জানুয়ারি, ২০২১, ৩:১৭ এএম says : 0
কথা গুলো বিশ্বাস হচ্ছে না । অবিশ্বাস্য এবং সঠিক কথা ।
Total Reply(0)
তুষার ১৪ জানুয়ারি, ২০২১, ৩:১৮ এএম says : 0
সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আ.লীগ সারাদেশে ৩০-৪০টা আসন পাবে।
Total Reply(0)
Engr Amirul Islam ১৪ জানুয়ারি, ২০২১, ৪:৪৭ এএম says : 0
You are making dramma and making fool already fool people. How was 2018 election?
Total Reply(0)
Bongo... ১৪ জানুয়ারি, ২০২১, ১১:১৬ এএম says : 0
He is telling some truth out of jealousy as He is probably not getting success in doing the same type of corruption.
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন