দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির দুর্নীতির মামলায় সাবেক ছয় ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ২২ জনের জামিন বাতিলের কয়েক ঘন্টা পর একই আদালত জামিন মঞ্জুর করা হয়। রাতে জামিনের কাগজ কারাগারে পৌঁছালেও কারাবিধি মোতাবেক লকআপ হওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে নয়’টায় তাদের মুক্তি দেয়া হয়।
১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭.৯৯ মেট্রিক টন কয়লা (যার আনুমানিক মুল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা) আত্মসাতের অভিযোগে গত বুধবার ছিল চার্জ গঠনের ধার্য তারিখ। দুপুরে দিনাজপুরের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল করিম চার্জ গঠন করে তাদের জামিন না মঞ্জুর করে। জামিন না মঞ্জুর হওয়ায় বিকেল ৪টার দিকে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। বিকেলে একই আদালতে মামলাটি মহামান্য হাইকোর্টে শুনানীর জন্য রয়েছে জানিয়ে পুনরায় জামিন আবেদন করা হয়। আদালত উচ্চ আদালতে শুনানীর জন্য থাকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনের কাগজ দিনাজপুর জেল কারাগারে পৌঁছায় রাত নয়টার দিকে।
উল্লেখ্য, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির পক্ষে ম্যানেজার (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পরে দুদক ৭ এমডিসহ মোট ২৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জসিট দাখিল করেন। এর মধ্যে একজন এমডি মৃত্যুবরণ করায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ২২ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন