স্টাফ রিপের্টার, সাভার থেকে : ঢাকার সাভারে এক ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে একজনকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করা হলেও মামলা নিতে গড়িমসি করছে পুলিশ। টাকা দিয়ে অভিযোগ লেখালেও তা আমলে না নিয়ে উল্টো ঘটনাটি পুলিশ আপোষের প্রস্তাব দিচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
শুক্রবার সকাল থেকে সাভার মডেল থানায় বসে থেকেও মামলা নথিভুক্ত করাতে পারেননি মুক্তিপণ দিয়ে ছুটে আসা ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম। সাইফুল ইসলাম ঝালকাঠি জেলার সদর থানার ভলিঘনা এলাকার আব্দুল ওহাবের পুত্র। সে দীর্ঘদিন ধরে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুরে ‘এশিয়া মিউজিক মিডিয়া’ নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে ইলেকট্রিকাল মালামাল বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন।
সাইফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বেলা আনুমানিক ১১টার দিকে মাসুম নামে এক ব্যক্তি তাকে ফোন করে মালামাল কেনার কথা বলে সাভার চাঁপাইন এলাকার তালতলা মহল্লায় ডেকে আনে। তখন সাইফুলের সাথে তার বন্ধু আব্দুল খালেকও ছিল। পরে তারা তাদের দুইজনকে সোহেলের রিক্সার গ্যারেজে নিয়ে আটকে ফেলে। সেখানে মাসুমের সাথে সেন্টু, রিপনসহ আরো কয়েকজন ছিল।
কিছুক্ষণ আটকে রাখার পর তারা সাইফুল ও খালেকের মুঠফোন ও পকেটে থাকা ১৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে সাইফুলের পরিবারে কাছে মুঠফোনে ফোন করে তাকে অপহরণ করা হয়েছে জানিয়ে বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপণ দাবি করে। পরে বিকাশে ২১ হাজার টাকা পাঠানোর পর সাইফুল ও খালেককে ছেড়ে দেয় তারা।
সাইফুল ইসলাম আরো জানায়, বৃহস্পতিবার স্বজনদের নিয়ে যেখানে আটকে রেখেছিল সেখানে গিয়ে রিপন নামে এক যুবককে চিনতে পেরে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করা হয়। আটক রিপনের (৩০) বাবার নাম আব্দুর রহিম। তার বাড়ি পাবনা জেলায়।
পরে শুক্রবার সকালে সাভার মডেল থানায় মামলা করতে গেলে এসআই কবীর হোসেন ও এসআই মিজানুর রহমান মামলা না নিয়ে আপোষ করার প্রস্তাব দেয়। একপর্যায়ে সকাল থেকে বসিয়ে রেখে দুপুরের দিকে থানার কম্পিউটার অপারেটরকে এসআই মিজান একটি অভিযোগ লিখেদিতে বলে। অভিযোগ লেখার পর জোরপূর্বক ওই অপারেটর ৫০০ টাকা রেখে দেয় লেখার খরচা বাবদ। দিনভর থানায় ঘুরে সাইফুল ও তার স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, টাকা দিয়ে অভিযোগ লেখানোর পরও পুলিশ তা নথিভ‚ক্ত না করে উল্টো আপোষ করার প্রস্তাব দিচ্ছে। মামলার কথা বললে, ওই পুলিশ কর্মকর্তারা জানায়, মামলা করলে আদালতে ঘুরে ঘুরে হয়রানী হতে হবে।
এদিকে অভিযোগ প্রসঙ্গে এসআই কবীর ও এসআই মিজানের সাথে কথা বললে তারা একে অপরকে দোষারোপ করছেন।
এপ্রসঙ্গে জানতে সাভার মডেল থানার ওসি এসএম কামরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন