জয়পুরহাটে ভূমিহীন ও গৃহহীন ১৬০ পরিবার উপহার পাচ্ছে নান্দনিক ঘর। "বাংলাদেশের একটি মানুষ গৃহহীন থাকবে না" মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা অনুযায়ী যাদের জমি এবং বায়ে কোনো কিছুই নেই তাদেরকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় দু’কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা একটি করে ঘর উপহার দেয়া হবে।
জয়পুরহাট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে জেলার ৫টি উপজেলায় ‘ক’ ক্যাটাগরিতে যারা ভূমিহীন ও গৃহহীন তাদের জন্য নতুন ঘর তৈরি করার উদ্যোগ নেয়। ইতোমধ্যে ওই কার্যালয়ের অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প আশ্রয়ণ ২-এর আওতায় প্রথম ফেইজে ৩৫টি এবং দ্বিতীয় ফেইজে১২৫টি মোট ১৬০টি ঘর উপহার হিসাবে পাচ্ছে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। প্রতিটি ঘরের জন্য ব্যায় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭১হাজার টাকা । ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে কমপক্ষে দুই শতক খাস জমির বন্দোবস্তসহ দুই কক্ষবিশিষ্ট ১৬০টি সেমি পাকা ঘর তেরির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়াও পানি ও বিদ্যুৎসহ প্রতিটি গৃহে ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে এবং রয়েন টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি দুটি কক্ষ, একটি রান্না ঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা রয়েছে। আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে এসব গৃহের নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন চন্দ্র রায়
জেলার সদর উপজেলায়৪৬টিক্ষেতলাল উপজেলায় টি ৮ কালাই উপজেলায় ৪০টি আক্কেলপুর উপজেলায় ২১টি এবং পাঁচবিবি উপজেলায়৪৫টি ঘর নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। সরকারের মহতি এ উদ্যোগটি জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ছিন্নমূল ও ভূমিহীন পরিবারের তথ্য উপজেলা ভূমি অফিস থেকে যাচাই করে নিশ্চিত হওয়ার পরেই সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে, বিভিন্ন ব্যক্তির দখলে থাকা সরকারি ভূমি উদ্ধার ও ঘরের স্থান নির্ধারণসহ এসব ঘর নির্মাণে তদারকির জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারগন। সাথে রয়েছেন পি আই সি কমিটির সদস্য বৃন্দ ।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার আমদই ইউনিয়নের পূর্ব পাঁচ গ্রামের দিনমজুর মুসলমান জরিনা বিবি, পুরানাপৈল ইউনিয়নের মেলাচাপুর গ্রামের জাহানারা খাতুন, চকবরকত ইউনিয়নের দক্ষিণ খাসপাড়া গ্রামের কৃষি শ্রমিক মোসাম্মৎ রূপালী বেগম, বলেন আমরা দিনমজুর মানুষের বাড়িতে কাম করে খাই,রাতে গৃহস্থের বায়ের বারান্দায় কখন রাস্তার পাশে কষ্ট করে ছেলে-মেয়ে নিয়ে রাত কাটায় এখন প্রধানমন্ত্রী আমাগো ঘর করে দিচ্ছে আমরা থাকার জায়গা পাচ্ছি, ছেলে মেয়ে নিয়ে আর ঝড় বৃষ্টিতে কষ্ট করতে হবে না, এর চেয়ে খুশির খবর আর কি হতে পারে।আমরা তার জন্য দোয়া করি আলাহ তাকে আরো হায়াত দান করুক
জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন চন্দ্র রায় বলেন ক ও খ শ্রেণির পরিবারের মধ্যে প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৬০টি পরিবারের জন্য তৈরিকৃত ঘরের কাজ আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে। বাকিদের অনুমোদন সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে সরকারি ঘর দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ।কাজের গুনগত মান শত ভাগ বজায় রেখে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সমাজের নিম্ন আয়ের অসহায় ভূমিহীন পরিবার গুলোর কাছে যথাযথভাবে বুঝিয়ে দিতে আমরা বদ্ধ পরিকর।তাদেরকে সরকারের মাধ্যমে একটা সেরা উপহার দিতে পারলে আমরা গর্বিত হবো। তিনি বলেন যাদেরকে ঘর ও জায়গা দেয়া হবে তাদের প্রত্যেকের নামে ডিসি আর খতিয়ান গৃহ প্রদানের সার্টিফিকেট ও দলিল রেজিস্ট্রির মাধ্যমে জায়গা ও ঘর বুঝিয়ে দেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন