বিশেষ সংবাদদাতা : পুলিশের তৎপরতায় পাল্টে গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিত্র। যানজটবিহীন মহাসড়ক দিয়ে গতকাল শনিবার নির্বিঘেœ চলাচল করেছে হাজার হাজার যানবাহন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ সক্রিয় হওয়ার কারণে গতকাল মহাসড়কের গোমতি ও মেঘনা সেতুতে ওঠার সময় কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়নি। যার ফলে যানজটেরও সৃষ্টি হয়নি।
লাইফ লাইন বলে খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট এড়াতে সরকার মহাসড়টিকে চার ও আট লেনে উন্নীত করেছে। এর পরেও সামান্য কিছু ভুল, পরিবহন শ্রমিক ও পুলিশের গাফিলতির কারণে এই মহাসড়কে যানজটে আটকা পড়ে যাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিশেষ করে মহসড়কের মেঘনা ও গোমতি সেতুতে ওঠানামা করার সময় যানজটের সৃষ্টি হয়ে সেতুর দুই দিকে আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। কোনো কোনো সময় সেই যানজট কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ হয়। গত বৃহস্পতিবার সকালে সেই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। তাতে হাজার হাজার যানবাহন সেতুর দুদিকে আটকা পড়ে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ যানজটের। যাত্রীদের পোহাতে হয় সীমাহীন দুর্ভোগ। পরিবহন শ্রমিক ও ভুক্তভোগী যাত্রীদের মতে, সেতুর দুই দিকে কর্তব্যরত পুলিশ একটু সচেতন হলে বা গাফিলতি না করলেই এই যানজট এড়ানো সম্ভব। বিষয়টি হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আব্দুল মালেককে জানানোর পর তিনি সংশ্লিষ্ট জোনের পুলিশ কর্মকর্তাকে আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশনা দেন। তার পরই পাল্টে যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চেহারা। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মহাসড়কে যানজট থাকলে যাত্রীদের যেমন কষ্ট হয় পরিবহন শ্রমিকদেরও তেমনি কষ্ট হয়। যানজটের কারণে পরিবহন মালিকরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন। যেখানে সারাদিনে তিনটা ট্রিপ হওয়ার কথা সেখানে এক ট্রিপেই দিন শেষ হয়ে যায়। তিনি বলেন, আশা করছি সামনের ঈদেও পুলিশ একইভাবে তৎপর থাকবে এবং ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘেœ যাতায়াত করতে পারবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন