শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

কোরবানির পবিত্রতা ও স্বাস্থ্যঝুঁকি শীর্ষক গোলটেবিলে পবার নেতৃবৃন্দ বিষাক্ত পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিষাক্ত পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে পরিবেশবাদীরা। তাদের মতে, অধিক মুনাফার লোভে গরু মোটাতাজাকরণে বিভিন্ন ক্ষতিকর ঔষধ ব্যবহার, কৃত্রিম পদ্ধতিতে অস্বাভাবিকভাবে মোটাতাজা গরুর মাংস খাওয়ার ফলে কিডনি, লিভার, হৃদপিÐসহ মানব শরীরের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় কোরবানির গরু মোটাতাজাকরণের এ পদ্ধতি বন্ধে কঠোর ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশবাদী নেতৃবৃন্দরা। গতকাল শনিবার পবা কার্যালয়ে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)’র আয়োজনে কোরবানির পবিত্রতা ও ‘স্বাস্থ্যঝুঁকি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে উক্ত দাবি জানানো হয়। পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে এবং পবার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরীর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম, সহ-সম্পাদক মো. সেলিম, সদস্য প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্যবান গরু উৎপাদনের জন্য বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত এবং কৃষি বিভাগ অনুমোদিত পদ্ধতি রয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় গরু কাক্সিক্ষত মোটাতাজা বা হৃষ্টপুষ্ট হতে তিন থেকে ছয় মাস সময় নেয়। ব্যবসায়ীরা গরু প্রতি খাবারের খরচ ও সময় কমাতে গরুকে অতিরিক্ত ইউরিয়া, সিপ্রোহেপ্টাডিন, স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ, অ্যানাবলিক স্টেরয়েড, হরমোন ইত্যাদি খায়ানো বা ইনজেকশন দেয়। তারা আরো বলেন, সিপ্রোহেপ্টাডিন অস্থায়ী রুচিবর্ধক ট্যাবলেট গুঁড়ো করে গো-খাদ্যের সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়। এই ঔষধগুলো মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ালে পশুর শরীরে পানি এবং জলীয় পদার্থ জমে যায়। সাথে চর্বিও জমে। ফলে পশুটিকে দৃশ্যত মোটা দেখাতে থাকে। শরীর ফোলা অসুস্থ গরুটিকেই কোনো ঈমানদার মুসলমান না জেনে স্বাস্থ্যবান, বেশি মাংস হবে ভেবে বাজার থেকে কিনে নিয়ে যায় কোরবানির জন্য। কিন্তু পশুটিকে জবাইয়ের পর দেখা যায় পশু শরীরের জলীয় অংশ বের হওয়ার পর পশুটি যেন ছোট হয়ে গিয়েছে। তারা বলেন, সরকারের তরফ থেকে নজরদারি বাড়াতে হবে। পশুর হাটে পশু চিকিৎসকদের টিমের সংখ্যা বাড়াতে হবে। কৃষকগণ যেন গরু মোটা করার বিষাক্ত পদ্ধতি ব্যবহার না করে এ জন্য স্থানীয়ভাবে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করার কার্যক্রম গ্রহণ করা এবং মোটতাজাকরণের ঔষধ তৈরি ও বিতরণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন