জোড়া খুনের ঘটনা দিয়েই যেন শুরু হল কক্সবাজার সদরের নতুন থানা ঈদগাঁও এর যাত্রা। থানা উদ্বোধনের আগের রাতে মা-মেয়ে জোড়া খুনের ঘটনা চমকে দিয়েছে এলাকাবাসীকে। ২০ জানুয়ারি ছিল কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও থানার উদ্বোধন। প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। কিন্তু থানা উদ্বোধনের আগের রাতে ঘটে মা-মেয়ে জোড়া খুনের ঘটনা।
ওই রাতে সদরের ইসলামাবাদ ইউনিয়নে উত্তর লরাবাঁক চরপাড়ায় জমির সীমানা বিরোধকে কেন্দ্র করে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করে এক পাষন্ড। হত্যাকান্ডের পর তিন দিন অতিবাহিত হলেও ধরে পড়েনি খুনি আবুল কালাম। গত ১৯ জানুয়ারি রাত ৮টায় ইসলামাবাদ ইউনিয়নের চর পাড়ায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে আবুল কালামগং ও আজিজুল হকগং এর মধ্যে বসতভিটার সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৭ জানুয়ারি বিবাদমান দু›পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে গত মঙ্গলবার রাতে মৃত জাফর আলমের ছেলে অটোরিকশা চালক আবুল কালাম (২৭) তার বসত ঘরের সীমানায় (টেংরা) ঘেরা দেখে ক্ষেপে যায়। তখন ধারালো দা দিয়ে আজিজুল হক বাবুর্চীর স্ত্রী রাশেদা বেগম (৩৬) ও তার স্কুল পড়–য়া মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস (১৪)-কে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তখন মা-মেয়ের আত্মচিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার সাইফুল ইসলাম বলেন, তাদের মধ্যে আগে থেকেই সীমানা বিরোধ নিয়ে দ্ব›দ্ব বিরাজমান ছিল। খবর পেয়ে ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. আবদুল হালিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে খুনের কাজে ব্যবহৃত ধারালো দা এবং খুনি আবুল কালামের অটোরিকশাটি জব্দ করে।
এ ব্যাপারে ওসি আবদুল হালিম জানান, যে রাতে এ ঘটনা হয়েছে তখন আমরা ঈদগাঁও থানা উদ্বোধন এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এ ছাড়াও সদর থানায় নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। এটি আজ মামলা হিসাবে নেয়া হবে। আসামি গ্রেফতারের জন্য সব ধরনের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন