নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা : নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে দুর্ঘটনায় আহদের মধ্যে মোসাহাব আলী (৬০) নামে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ওই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো চারে।
মৃত মোসাহাব আলী গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন সংলগ্ন রণচন্ডি ইউনিয়নের দক্ষিণ রণচন্ডি গ্রামের মৃত হাসিম উদ্দিনের ছেলে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান মারুফুল ইসলাম মোসাহাব আলীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এখনও হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উল্লেখ্য, রোববার রাত আটটার দিকে বৃষ্টির সাথে বইছিলো হালকা বাতাস। আর তাতেই গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের খামার গাড়াগ্রাম গ্রামের বিপ্লবের বাড়িতে ছিঁড়ে পড়ে পল্লী বিদ্যুতের ১১ হাজার কেভির তার। সারা বাড়ি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে লেগে যায় আগুন। এসময় এলাকাবাসী পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে মুঠো ফোনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করান।
বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধের পর গ্রামের মানুষ যখন আগুন নেভাতে ব্যস্ত তখন কোন রকম খোঁজ-খবর না নিয়ে বন্ধ থাকা বিদ্যুতের সংযোগ পুনঃরায় চালু করে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যুৎ সংযোগ চালুর সাথে সাথে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ওই গ্রামের সাজেদুর রহমান (৩০)।
এঘটনায় ১২ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান তাদের স্বজনরা। ওই রাতেই সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তারিকুল ইসলাম (৩০)। এর দুই দিন পর মারা যায় অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র নাইম ইসলাম (১৪)।
ওই দুর্ঘটনার জন্য গ্রামবাসী দায়ী করেন পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতাকে। এ ঘটনার পর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সেখানকার টেপারহাট অভিযোগ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ ও লাইনম্যান রুবেল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন