রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী সিটি গ্রæপ কারখানায় দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অনন্ত ১২ জন আহত হয়েছে। ওভারটাইমসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা নিয়ে গতকাল শনিবার দুপুরে ঘটে এ সংঘর্ষের ঘটনা। এ ঘটনার পর থেকে উভয় পক্ষের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও কারখানা সূত্র জানায়, রূপসী এলাকার সিটি গ্রæপ কারখানার নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩ শতাধিক সিকিউরিটি গার্ড। কারখানায় সিকিউরিটি গার্ডদের প্রধান হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন মাজিদুর রহমান।
বেশির ভাগ সিকিউরিটি গার্ড সদস্যদের অভিযোগ সিকিউরিটি গার্ড প্রধান মাজিদুর রহমান তার নিজ এলাকা রাজশাহী থেকে নিজস্ব প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জনকে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে চাকরি দিয়েছেন। মাজিদুর রহমানের নিয়োজিত সিকিউরিটি গার্ডদের ওভারটাইমসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিলেও অন্যদের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে আসছে তিনি। শনিবার দুপুরে সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত সিকিউরিটি গার্ড রানা ও রাকিবুল সিকিউরিটি প্রধান মাজিদুর রহমানের কাছে ওভারটাইমসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দাবি করেন।
এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে মাজিদুর রহমানসহ তার নিয়োজিত লোকজন রানা ও রাকিবুলকে পিটিয়ে আহত করে। এক পর্যায়ে সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত সিকিউরিটি গার্ডদের সঙ্গে সিকিউরিটি প্রধানের নিয়োজিত লোকজনের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় কারখানায় কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কাজ ছেড়ে ছুটাছুটি করতে শুরু করেন শ্রমিকরা। প্রায় দুই ঘন্টা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের সিকিউরিটি গার্ড প্রধান মাজিদুর রহমান, কমান্ডার আল-আমিন, সাহিন মিয়া, মেহেদী হাসান, সবুজ মিয়া, রানা, রাকিবুলসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় ও রাজধানীর বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। পরে কারখানার ডিজিএম জাকির হোসেন সুবিধা বঞ্চিতদের সুযোগ-সুবিধা দিবেন বলে আশ্বাস দিলে তারা শান্ত হন। খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তানভির হোসেন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন