দুর্নীতি কিছু মানুষের অভ্যাস বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। তিনি বলেন, দুর্নীতি ঠেকাতে সরকারি ক্রয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় সরকারি প্রণোদনা ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে বিতরণ করেও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রান্তিক পর্যায় সরকার ঘোষিত প্রণোদনা পৌঁছায়নি। গতকাল রোববার রাজধানীর এফডিসিতে ‘শিল্প খাতে করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় সরকারি উদ্যোগ’ নিয়ে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
মন্ত্রী বলেন, করোনার প্রথমদিকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রণোদনা দিতে গিয়ে তাড়াহুড়ার কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সঠিক ব্যক্তিরা সেই প্রণোদনা পায়নি। এতে ১০ থেকে ১১ শতাংশ মিস ফায়ারিং হয়েছে। ব্যাংকিং চ্যানেল অত্যন্ত ফরমাল হওয়ায় কখনও কখনও একেবারে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে করোনার প্রণোদনা পৌঁছাতে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। আমরা যা কিছু করতে চাই না কেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় তা অনেক সময় পিছিয়ে দেয়।
দেশের জাতীয় দৈনিকগুলোতে দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, এ সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বেশি করে খোঁজখবর নেওয়ার তাগিদ দিয়ে বলেন, বর্তমানে দারিদ্র্যের হার ২২-২৩ শতাংশের বেশি নয়। তিনি বলেন, বিনা মূল্যে ঘর প্রদানে কোথাও কোথাও দু’একটি দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হলেও, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গৃহহীনদের জন্য এই ধরনের ব্যাপক আয়োজন খুবই প্রশংসনীয়। সরকার ভবিষ্যতে আরও বেশি গতিশীলতার সঙ্গে তার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, আবুল বশির খান, কাবেরী মৈত্রেয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন