শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

টানাটানির সংসারে বেড়ে উঠেছি অপচয় ও দুর্নীতি পীড়া দেয়

ডিজেএফবি সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী ‘কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে আরও ইনভেস্ট প্রয়োজন’

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, দুর্নীতি ও অপচয় আমাকে পীড়া দেয়। টানাটানির সংসারে আমি বেড়ে উঠেছি। খুব কাছ থেকে অভাব ও অনটন গভীরভাবে দেখেছি। গতকাল শুক্রবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন ২০২২’ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় তিনি দুর্নীতি ও অপচয় নিয়ে সাংবাদিকদের বেশি বেশি প্রতিবেদন করার অনুরোধ করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, আমার রুমে দুটি টেলিভিশন কেনা। সোফা সেটও অনেক দামি। এগুলো আমাকে পীড়া দেয়। অপচয় ও দুর্নীতি নিয়ে বেশি তুলে ধরা দরকার। পাবলিক আমাদের আসল প্রভু। তথ্য প্রকাশ হলে অপচয় ও দুর্নীতিতে লিপ্ত হতে অনেকে ভয় পাবেন।
ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলসে শিক্ষা সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, একজন কর্মকর্তা ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলসে পাঁচদিনের শিক্ষা সফরে যাবেন। আমার কাছে অনুমতি নিতে এসেছেন। ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলস কীভাবে পাঁচদিনের শিক্ষা সফর হয়। এটাও এক ধরনের অপচয়। ব্রিটিশরা বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতে এসব ভাইরাস ছড়িয়ে গেছে।
এম এ মান্নান বলেন, দরিদ্র মানুষ সে যেই হোক, স্যানিটেশন সুবিধা দিতে হবে। আমি দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছি। কৃষক-মজুরদের প্রতি অবিচার হচ্ছে। সরকারের মূল লক্ষ্য অর্থনৈতিক মুক্তি ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, অপচয় ও দুর্নীতির উৎস প্রকল্পগুলো। অনেকে আমার এলাকায় মুজিব কেল্লা বানাতে চায়। নানান কারণে আমি না করেছি। প্রকল্প ম্যানেজমেন্টে ইস্প্রুভমেন্ট হতে হবে। যেন-তেন প্রকল্প নেওয়া যাবে না।
একই দিনে হোটেল সোনারগাঁওয়ে তিন দিনব্যাপী অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সম্মেলনের শেষ দিনে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে আমরা গ্রামের মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাতে পেরেছি। অসুস্থ হলেই মানুষকে এখন আর শহরে দৌড়াতে হয় না। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে আরও ইনভেস্টের প্রয়োজন।
এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের সৌজন্যে গ্রামের মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে পেরেছি। অসুস্থ হলেই মানুষকে এখন আর শহরে দৌড়াতে হয় না। পাশের কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়েই জরুরি সেবাসহ নানা রকমের ওষুধ সেখানে তারা পান। আমি আমার গ্রামের চেয়ারম্যান, মেম্বার, মাতব্বরদের সাথে কথা বলে দেখেছি, তারা সবসময় কমিউনিটি ক্লিনিককে উচ্চ মার্ক দিয়েছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে আরও ইনভেস্ট করার প্রয়োজন আছে। যদিও সেখানে জায়গা কম, ছোট দুইটা রুম, তবুও প্রতিটি আরও দুই/তিনটা করে শয্যা বাড়ানো যায় কি না, আরও কিছু প্রাথমিক সুযোগ সুবিধা যোগ করা যায় কি না, রোগ শনাক্তের জন্য কিছু যন্ত্রপাতি বিশেষ করে এক্স-রে, ইসিজি জাতীয় কিছু যোগ করা যায় কি না, এগুলো আমাদের চিন্তা করা দরকার।
গ্রামাঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় নজর দিতে হবে জানিয়ে এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রথম টার্গেটই হলো গ্রাম ও গ্রামে যারা বসবাস করেন বিশেষ করে যারা সরাসরি ক্ষেতে খামারে, বিলে ঝিলে কাজ করেন, তাদের কল্যাণের জন্য কিছু করা। সেই জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে আরও সুযোগ সুবিধা বাড়াতে হবে।
কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর জন্য আমরা গর্ববোধ করি জানিয়ে তিনি বলেন, আমি যখনই গ্রামে যাই, তখন রাস্তায় কমিউনিটি ক্লিনিকে নামি, ভেতরে ঢুকি, তাদের কার্যক্রম দেখি। আমার কাছে খুবই জীবন্ত মনে হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন