বন্যার করাল গ্রাসে ক্ষত বিক্ষত অঞ্চল জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা অবকাঠামো উন্নয়নে দিনদিন পাল্টে যাচ্ছে গ্রামীণ চিত্র। প্রতি বছর বন্যায় গ্রামীণ জনপদের রাস্তাঘাট সেতু-কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এলাকার হাজার হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বর্তমান সরকারের গ্রামীণ অবকাঠানো রক্ষণাবেক্ষণ উন্নয়ন, নির্মাণ, পূর্ণঃনির্মাণ ও সংস্কারের লক্ষে ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর, ইজিপিপি প্রকল্প, টিআর, কাবিখা, কাবিটা, সোলার প্যানেল স্থাপন বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে গ্রামাঞ্চলে জন সাধারণের বসবাস, চলাচলসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলও আলোকিত হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ২০২০-২১ অর্থবছরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় ইজিপিপি প্রকল্পের ৪০ দিন ব্যাপী ৭০টি উন্নয়ন প্রকল্পের ৩ কোটি ৪১ লাখ ৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩৮০২ জন শ্রমিক ১২টি ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে কাঁচা রাস্তা সংস্কার, নির্মাণ ও স্কুল-কলেজ এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মাটি ভরাট করা হয়েছে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ ফরিদুল হক খান দুলাল এমপির আন্তরিক প্রচেষ্টায় গ্রামীণ জনপদ উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি কাবিখা ও কাবিটা, টেস্ট রিলিফ টিআর ও ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি এবং এলজিএসপি প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ জনপদের রাস্তা-ঘাট, সেতু-কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়ন বাস্তবায়নে জনপদের দৃশ্যপট চিত্র পাল্টে গেছে।
এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি হোসনে আরা এর প্রথম পর্যায়ে টিআর কাবিখা ও উপজেলা পরিষদের টিআর, কাবিটার টিআর, কাবিখা, কাবিটার, আওতায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মাটি ভরাট, রাস্তা সংস্কারের ফলেও পাল্টে যাচ্ছে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জীবনযাত্রার মান। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও প্রকল্পগুলো ঘুরে গ্রামীণ জনপদের উন্নয়ন দেখা গেছে। উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারির মাধ্যমে এসব উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন হওয়ায় বদলে যেতে শুরু করেছে এলাকাবাসীর জীবন-জীবিকার মান।
বন্যায় আক্রান্ত হয়ে যেখানে পা বাড়ানোই ছিল দুঃস্বপ্ন, সেখানে আবারো ছুটে চলছে ভ্যানসহ ছোট ছোট সব ধরনের যানবাহন। যাতায়াতে এসেছে আমূল পরিবর্তন। অন্যদিকে, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে হাজারো মানুষের দুঃখ লাঘব ও এলাকার অর্থনৈতিক উন্নতি সাধনে সেতু-কালভার্ট নির্মাণ ও সংস্কার হওয়ায় মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি গ্রামীণ জনপদের চিত্র পাল্টে গেছে। গ্রামীণ এসব কাঁচা রাস্তা সংস্কারের ফলে এলাকার স্কুল-কলেজগামী হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী আর এলাকার বৃদ্ধ রোগীরা যেন হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন।
এলাকাবাসী জানায়, জনস্বার্থে মসজিদ, মাদরাসা গোরস্থান কমিউনিটি ক্লিনিক, রাস্তাঘাট ব্রিজ-কালভাটসহ সোলার প্যানেল স্থাপনে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে সকলের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন হয়েছে। এলাকার ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাতায়াতও নিশ্চিত হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু জানান, প্রতি বছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এই উপজেলায় ২০২০-২১ অর্থ বছরে ইজিপিজি, টিআর, কাবিখা, কাবিটা, কর্মসূচির আওতায় প্রায় প্রতিটি রাস্তাঘাট, নির্মাণ ও পূণঃনির্মাণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন করা হয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকায় গ্রামীণ জনপদের হাজারো মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড জামাল আব্দুন নাছের বাবুল জানান, নিয়মিত নজরদারির মাধ্যমে উপজেলায় যেভাবে রাস্তা উন্নয়ন কাজ হচ্ছে, সেটা অব্যাহত থাকলে দ্রুত লাঘব হবে গ্রামীণ দুর্ভোগ আর গ্রামীণ অর্থনীতিতে আসবে আমূল পরিবর্তন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন