শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

উৎপাদন পর্যায়েই কৃষিপণ্যে রাসায়নিক মেশানো হয়

প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : উৎপাদন পর্যায়েই কৃষিপণ্যে রাসায়নিক মেশানো হয়। গত এক বছরে উৎপাদন ও বিপণনের তিনটি পর্যায়ের কৃষি ও খাদ্য পণ্যের নমুনা পরীক্ষা করে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট। রোববার জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে আয়োজিত গত এক বছরে খাবারের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ বিষয়টি জানান প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. একে এম জাফরউল্লাহ।
জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট কৃষক, পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতার কাছ থেকে প্রতিটি উপাদানের ২৭ টি নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করে। এতে ৪০ ধরনের খাদ্য নমুনা পরীক্ষা করা হয়। বিভিন্ন ধরনের ফল, সবজি, শুঁটকি, মুড়ি এবং গুঁড়া মরিচসহ অন্যান্য গুঁড়া মশলার ৪০৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এসব খাদ্যে ৪৩ ধরনের অর্গান ফসফরাসের উপস্থিতি ও পরিমাণ নির্ণয় করা হয়। শুঁটকিতে অর্গানোক্লোরিনের পেস্টিসাইডের উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়।
খেজুর, আঙ্গুর, আমে ফরমালিন, মুড়িতে ইউরিয়া এবং হলুদ ও মরিচে আফলাটক্সিন এবং নিষিদ্ধ সুদান রেডের উপস্থিতি পাওয়া যায় পরিচালিত পরীক্ষায়। ৩২৪ টি নমুনাকে পরীক্ষা করে ৪৭ টি নমুনায় মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিকের উপাদান পাওয়া গেছে। যা শতকরা ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। এসব খাদ্যের মধ্যে ৩৪ শতাংশ ডাইমেথোট, ৩২ শতাংশ কুইনালফোস, ১৭ শতাংশ ক্লোরোপাইরোফস এবং মেলাথিওন, এথিলফেনিইন্ট্রিফেনি, ইথোপ্রোফস এবং মেটালিঙ্কি’র উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
এসব নমুনার মধ্যে কিছু খাদ্যে বিপজ্জনক মাত্রায় রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়া যায়। আম, আঙ্গুর এবং খেজুরের সবগুলো নমুনাতেই ফরমালডিহাইটের উপস্থিতি পাওয়া গেলেও সেগুলো আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী বিপজ্জনক মাত্রায় ছিল না। তবে গুঁড়া মরিচের ৩ টি নমুনা পরীক্ষায় নিষিদ্ধ রং সুদান রেড এবং ২ টি নমুনায় আফ্লাটক্সিনের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৬-এর জুলাই পর্যন্ত এই জরিপের তত্ত¡াবধান করেন জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ফুড সেফটি ল্যাবরেটরির প্রধান প্রফেসর ডা. শাহনীলা ফেরদৌস। তিনি বলেন, গত অর্থ বছরে সরকারের পক্ষ থেকে স্বল্প অনুদানে এসব পরীক্ষা করা হয়। এবার বরাদ্দের পরিমাণ বেড়েছে। তাই এধরনের জরিপের সংখ্যা বাড়বে বলে জানান তিনি। এসময় পরিচালক ডা. জাফরউল্লাহ জানান, জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে বর্তমানে বছরে ৪০ কোটি খাবার স্যালাইন প্রস্তুত ও বিতরণ করা হয়। এছাড়া আইভ ফু¬ইড, স্যালাইন, বøাড ব্যাগ তৈরি করে সরকারি প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা হয়। তাছাড়া অত্যন্ত কমমূল্যে এখানে নানা ধরনের রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এসময় জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদ, ডা. কার্তিক চন্দ্র দাশ, ফুড সেফটি ল্যাবরেটরির গবেষক ড. মতিউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন