খুলনা ব্যুরো : জনদাবি উপেক্ষা করে দেশের স্বার্থবিরোধী সুন্দরবন বিধ্বংসী রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সরকারের অনড় অবস্থান এবং প্রকল্পের বিরোধিতাকারী জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে সংবাদ সম্মেলনে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন খুলনা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিলের দাবিতে সুন্দরবন সংলগ্ন জনপদ খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরায় জনমত গঠন এবং ধাপে ধাপে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি সংগঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রবিরোধী আন্দোলন কর্মসূচি নির্ধারণে কেন্দ্রীয় নির্দেশনার প্রেক্ষিতে রোববার দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরী সভায় মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা এ বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ আলোচনা শেষে করণীয় নির্ধারণ করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে জনমত গঠনে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও ঈদুল আযহার পরে কঠোর কর্মসূচির দিকে যাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গতকাল দুপুরে নগর বিএনপি কার্যালয়ে এ জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভা থেকে রামপালে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরে লিফলেট তৈরি এবং তা সুন্দরবন সংলগ্ন জনপদের প্রতিটি ঘরে ঘরে সাধারণ মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভা থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি পরিবেশ বিশেষজ্ঞ টিমের প্রকল্প এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন এবং শেষে খুলনায় একটি জাতীয় পর্যায়ের সেমিনার আয়োজনের প্রস্তাব করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, শেখ খায়রুজ্জামান খোকা, সিরাজুল ইসলাম মেঝো ভাই, মোঃ শাহজালাল বাবলু, রেহানা ইসা, শেখ ইকবাল হোসেন, স ম আব্দুর রহমান, ফখরুল আলম, অ্যাড. ফজলে হালিম লিঠন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, সিরাজুল হক নান্নু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, শফিকুল আলম তুহিন, মেহেদী হাসান দীপু, মহিবুজ্জামান কচি, শের আলম সান্টু, আজিজুল হাসান দুলু, প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন