বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চরের রাস্তাঘাট মেরামত বা পুর্ননির্মাণ না করায় যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে চরবাসিকে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে চরে উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাত করতে যানবাহন ব্যবহার করতে পারছে না যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকার কারণে। চরে এখন ঘোড়ার গাড়ি ছাড়া কোন প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারে না। গাইবান্ধার ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও সদর উপজেলার ৩২টি ইউনিয়ন ব্রক্ষ্মপুত্র, যমুনা, তিস্তা, ঘাঘট, করতোয়া ও আলাই নদী উপর দিয়ে নদী শাখা প্রশাখায় বিভক্ত হয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এসব নদীতে বিভিন্ন চর জেগে উঠার ফলে ওইসব শাখা নদী পারাপারে নানা ধরণের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে চরবাসিকে। প্রতি বছর বন্যায় এবং বৃষ্টি বাদলে চরের ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাঘাট মেরামত না করায় দিন দিন সেগুলো ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। চরে বসবাসকারিদের পায়ে হেঁটে বাঁশের সাঁকো, হাটু পানি বা কোমর পানি ডিঙিয়ে দিনের পর দিন এক চর থেকে অন্য চরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। যারা গুচ্ছ গ্রামে যাতায়াত করেন তাদের কেউ দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
বেলকা চরের মফিজল হক জানান, প্রতিবছর চরের রাস্তা বন্যায় ধসে যায়। সে জন্য ওই রাস্তায় চলাচল করা অত্যন্ত কষ্টকর হয়। তাছাড়া চরের যেসব ফসল আবাদ করা হয়, তা বাজারে নিয়ে যাওয়া খুবই কঠিন। প্রতিবছর চরের রাস্তাঘাট মেরামত করা প্রয়োজন। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান রাস্তাঘাট মেরামত করার জন্য এখন কারিখা ও কাবিটা প্রকল্প নেই বললে চলে। শুধু মাত্র কর্মসৃজন প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তাঘাট মেরামত করা হচ্ছে। কর্মসৃজন প্রকল্পের মাধ্যমে সকল রাস্তাঘাট মেরামত করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, চরের রাস্তাঘাট প্রতিবছর মেরামত দরকার। কারন বন্যায় প্রতি বছর চরের রাস্তাঘাট খুঁয়ে যায়। এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ওয়ালিফ মন্ডল জানান, প্রকল্প না থাকায় চরের রাস্তাঘাট মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন