আমীরে হিযবুল্লাহ্ হযরত পীর ছাহেব বলেন, শুধু নামে মুসলমান নয়, বরং আমল ও আখলাকে খাঁটি মুসলমান হতে হবে। ছারছীনার মরহুম দাদা পীর বাংলাদেশের মুসলিম সমাজ থেকে হিন্দুয়ানী কৃষ্টি-কালচার দূরীভ‚ত করে সাচ্চা মুসলমান তৈরি করেছিলেন। প্রকৃত মুসলামান সৃষ্টির ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি ব্যাপক হারে মাদরাসা ও খানকাহ্ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাই আমাদেরকে তার ৬৯তম ইন্তেকালবার্ষিকীতে তাঁর আদর্শে উজ্জীবিত হবার শপথ নিতে হবে।
ছারছীনা দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা পীর শাহ্সূফী হযরত মাওলানা নেছার উদ্দিন আহমদ (রহ.) এর ৬৯তম এবং হযরত মাওলানা শাহ্ আবু জাফর মোহাম্মাদ ছালেহ (রহ.) এর ৩১তম ইন্তেকালবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ছারছীনা দরবার শরীফে আয়োজিত মাঘ মাসের ঈছালে ছাওয়াব মাহফিলের দ্বিতীয় দিনের তা’লীমে গতকাল হযরত পীর ছাহেব এ কথা বলেন।
দ্বিতীয় দিনে বাদ ফজর হতে জিকির, মুরাকাবা ও তা’লীমের পর ওয়াজ নসীহত চলমান থাকে। এ সময়ে ভাইস-প্রিন্সিপাল মাওলানা মো. রূহুল আমিন ছালেহী, মুদীর মাওলানা মো. মামুনুল হক, মুফতী মাওলানা মো. হায়দার হুসাইন, মাওলানা আ.জ.ম. ওবায়দুল্লাহ্, মুহাদ্দিস মাওলানা মো. রূহুল আমীন আফসারী, মুফতী মাওলানা মাহমুদুল মুনীর হামীম, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ্ আল মাহমুদ ও হাফেজ মাওলানা মো. বোরহান উদ্দিন ছালেহী প্রমূখ ওয়াজ করেন।
বাদ জোহর মাহফিল স্টেইজে বাংলাদেশ যুব হিযবুল্লাহর কেন্দ্রীয় কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে জেলা প্রতিনিধিসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর নায়েমে আলা ড. মাওলানা সৈয়দ মুহা. শরাফত আলী বলেন, যুবক সম্প্রদায়ই প্রতিটি সংগঠনের প্রাণ। যুব সমাজ জাগ্রত হলেই যেকোন আদর্শই দিক বিজয় করতে সক্ষম হয়।
আজ মাহফিলের শেষ দিন। বাদ এশা হামদ-না’ত, কুরআন তেলাওয়াত, মর্ছিয়া, মিলাদ-ক্বিয়াম শেষে হযরত পীর ছাহেবের সমাপনী নসীহত ও আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিল শেষ হবে ইনশাআল্লাহ্।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন