ইয়াঙ্গুনের বাসিন্দারা এর মধ্যেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছেন। অনেকেই বাইরে বের হয়ে শুকনো খাবার কিনতে শুরু করেছেন। তবে বিভিন্ন দোকানে চাল এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিয়ে অনেকে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন। ইয়াঙ্গুনের আঞ্চলিক পার্লামেন্ট এবং আঞ্চলিক সরকারি অফিসগুলোর দখল নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। বেসামরিক কর্মকর্তাদের এসব দফতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এদিকে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে সেনা অভ্যুত্থানের সমর্থনে উল্লাস করেছে স্ব-ঘোষিত কিছু জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীর সদস্যরা। তারা সুয়েডাগন প্যাগোডার বাইরে শহীদদের সমাধিস্থলের কাছে গান গেয়ে উল্লাস প্রকাশ করেছে। এই দলের একজন জানিয়েছেন যে, উদযাপনের অংশ হিসেবে তারা শহরের অন্য স্থানগুলোতেও যাবেন। কয়েকদিন ধরেই জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীর সদস্যরা সামরিক বাহিনীর সমর্থনে ইয়াঙ্গুনের বিভিন্ন স্থানে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণই রয়েছে। এর পাল্টা কোন বিক্ষোভ কিংবা অভ্যুত্থান বিরোধী কোন বিক্ষোভ এখনো অনুষ্ঠিত হয়নি। সামরিক বাহিনী থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে চারটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা এবং নিয়মানুযায়ী ভোটার তালিকা তদন্ত ও পর্যালোচনা করা। এছাড়া কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সামরিক সরকার যুদ্ধ চালিয়ে যাবে এবং মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে বেগবান করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দেশজুড়ে যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়া বন্ধ করতে কাজ করে যাবে সেনাবাহিনী এবং জরুরি অবস্থা শেষে একটি সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বলছে, জরুরি অবস্থা শেষ হলে দেশটিতে নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং বিজয়ী দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। সেনা অভ্যুত্থানের কয়েক ঘণ্টা পর এমন তথ্য জানানো হয়েছে। বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন