স্বস্তির খবর নেই কোন পণ্যেই। চাল-তেল থেকে মাছ-সবজিসহ প্রায় সব নিত্যপণ্য নিয়েই চলছে কারসাজি, নোংরা চাতুরি। একদিকে, মুক্তবাজার অর্থনীতি। আরেকদিকে, সরকার মাঝেমধ্যে চাল-তেলসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম ঠিক করে দেয়। এতে বাজারে উল্টো বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে এবং দাম আরো বাড়ে। বিষয়টি রীতিমত মশকরা। ক’দিন আগে সরকার ভোজ্যতেলের দাম বেঁধে দেওয়ার পর ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত দামে তেল বিক্রি তো করেনইনি। উপরন্তু, চলমান বেশ ক’টি কোম্পানির তেল হঠাৎ বাজার থেকে উধাওই হয়ে গেছে।
সরকারি ঘোষণার পর অনেকেই আশাবাদী ছিলো ভোজ্যতেলের বাজার স্থিতিতে আসবে। কিন্তু হয়েছে আরো বিপরীত। এক হিসাবে জানা গেছে, দেশে ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২০ লাখ টনেরও বেশি। অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদন হয় সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টন। বাকিটা আমদানি করতে হয়। সাত-আটটি প্রতিষ্ঠান অপরিশোধিত তেল আমদানি ও পরিশোধন করে বাজারজাত করে। তাদের কারো কারো বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট তৈরি করে দাম বাড়ানোর অভিযোগ পুরাতন। কোনো পণ্যের দাম বেঁধে দিলে তা কার্যকরের দায়িত্ব সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তায়। আবার মুক্তবাজার অর্থনীতির সংজ্ঞায় কোনো পণ্যের দাম সরকার চাপিয়ে দিতে পারে না। বরং বাজার তদারকি বাড়াতে পারে। সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবিকেও এ কাজে লাগানো যায়। অথচ, সরকার বাজার অর্থনীতির কথা বলছে আবার আন্তর্জাতিক বাজারে সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে উল্লেখ করে অসাধু ব্যবসায়ীদের নিত্যপণ্যের দামে কারসাজি করার ন্যায্যতা দিয়ে দিচ্ছে। যেমন, ভোজ্যতেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে একদিকে দাম বেঁধে দেয়া হয়েছে আরেকদিকে, বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারেও প্রভাব পড়েছে। কী দাঁড়ালো অর্থটা?
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা বার বার মিটিং করছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কী পরিমাণ বাড়ছে, আর দেশের বাজারে কী পরিমাণ বাড়ছে? যেটা আমদানি করে আমাদের চলতে হয় সেটার জন্য তো আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর ভরসা করতেই হবে। কিন্তু এ সুযোগটা নিয়ে যারা বাড়তি মুনাফাবাজি করছে তাদের কী হবে? বাণিজ্যমন্ত্রী বা সরকারের কারো পক্ষ থেকে এসব প্রশ্নের যথাযথ বা পরিষ্কার জবাব কখনো আসে না। বরং জবাবের নামে দেয়া হয় গোঁজামিল। কিছুদিন আগে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ব্যবসায়ীরা কথা দিয়ে কথা রাখছে না, তিনি আগুনের মধ্যে বাস করছেন। বাংলাদেশে একবার কোনো পণ্যের দাম বাড়লে তা আর কমে না। কমতে চায় না। পাশাপাশি দেশের বাজারে সিন্ডিকেটের কারসাজি যে কোনোদিন বন্ধ করা যাবে না সেটা মন্ত্রীর বক্তব্য থেকেই অনুমান করা যাচ্ছে।
ভরা মৌসুমেও চাল থেকে শুরু করে ডাল, ভোজ্যতেল, মাছ-মাংসসহ একাধিক পণ্য ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। প্রায় সব নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হচ্ছে বাড়তি দরে। এতে রীতিমতো ‘নাভিশ্বাস’ উঠেছে সীমিত আয়ের মানুষের। যেকোনো ব্যক্তিগোষ্ঠীর হাতে বাজারের নিয়ন্ত্রিত ক্ষমতা চলে গেলে ভোক্তার স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবেই। তাই ভোক্তার সুরক্ষা দিতে হলে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের দরকার প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া। কিন্তু দেশের কোথাও সেটি হচ্ছে না। কিছু ব্যক্তি-গোষ্ঠীর হাতেই নিত্যপণ্য নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে। ফলে এরা কারসাজি করলে তখন সরকারের আর করার কিছু থাকে না। মুক্তবাজার অর্থনীতি থাকবে কিন্তু তার মানে এই নয়, এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা যা খুশি তাই করার সুযোগ পাবে। বিশ্বের অনেক দেশে মুক্তবাজার অর্থনীতি থাকলেও সরকারের হাতেই সব সময় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও থাকে।
দেশে এখন বোরো ধানের ভরা মৌসুম। আগে বোরোর মৌসুম এলে চালের দাম কমতির দিকে থাকতো। কিন্তু গত ১-২ বছর ধরে পাল্টে গেছে বাজারের স্বাভাবিক এই চিত্র। ভরা মৌসুমেও ঊর্ধ্বমুখী চালের দাম। রাজধানীর বাজারে তো বটেই, গ্রামগঞ্জেও চালের বাড়তি দামের কারণে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। চলতি মাসের শুরু থেকেই বাজারে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকায়। আর সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭২ টাকায়। ভালো মানের সরু (নাজিরশাইল ও জিরাশাইল) চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়। টিসিবি ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাজার দর হিসাবে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৭ টাকা বেড়েছে। এরমধ্যে সরু চালের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।
সম্প্রতি চাল নিয়ে চালবাজির বিরুদ্ধে আর দেরি না করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সংশ্লিষ্টদের তিনি এই নির্দেশটি দিয়েছেন মন্ত্রিসভার বৈঠকে। গণমাধ্যমে সংবাদটি এসেছে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বরাতে। তিনি জানান, চালের মজুতদের কোনো ছাড় না দিতে বলা হয়েছে। নির্দেশটি বিশেষত ৩ মন্ত্রী বাণিজ্য, খাদ্য, কৃষি এবং তাদের সচিবদের প্রতি। একইদিন ‘বোরো ২০২২ মৌসুমে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও বাজার মনিটরিং সংক্রান্ত অনলাইন মতবিনিময় সভায় খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে করণীয় যা আছে, তার সবই করা হবে।পাশাপাশি দেশের বাজার থেকে চাল কিনে প্যাকেটজাত করে তা আবার বিক্রি করা যাবে না। এ জন্য একটি আইন করা হচ্ছে। এ সময় দেশের বাজারে চালের আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য দেশের বড় কয়েকটি শিল্প গ্রুপকে দায়ী করেছেন। ব্যবসায়ীদের মজুদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী বলেছেন,বড় বড় মিল ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ভালো মুনাফার আশায় ধানের মজুদ শুরু করায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় আমরা অভিযান চালাচ্ছি। প্রশ্ন হচ্ছে, সেটা হবে কোন আইনে বা কীভাবে? চলমান চালবাজদের দমানো হবে কোন আইনে? চাল বাজারের অস্থিরতা নিয়ে নানান প্রশ্ন ঘুরছে জনমনে। একদিকে ভরা মৌসুম। আরেকদিকে বাজারে চালের কোনো ঘাটতি-কমতি নেই। সাপ্লাইও ভরপুর। এরপরও কেন দাম নিয়ে চণ্ডালতা? নাই-নাই হাহাকার? গলদটা কোথায়? নেপথ্যে কোন কারসাজি? এ ধরনের নিষ্পত্তিহীন প্রশ্নের মাঝে এলো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশটি। চাল নিয়ে চলমান চালবাজিটি ওপেন সিক্রেট। সবারই কম-বেশি জানা। চাল সিন্ডিকেটিংয়ের স্টাইলটি ভিন্ন। এরা চাল কিনছে না। কিনছে ধান। সেই ধান মজুত করার অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেমেছে বড়-বড় কোম্পানি। বাজারে এখন যে চাল বেচাকেনা হচ্ছে এগুলো গত বছরের পুরাতন চাল। তাহলে নতুন ধানগুলো কই?
সংবাদসূত্রে জানা গেছে, সিন্ডিকেট ব্যবসায়িদের কাছ থেকে সেগুলো কিনে গুদামে ভরছে নামি-দামি বিভিন্ন কর্পোরেট হাউস। রড, সিমেন্ট, মেডিসিন, শেয়ারবাজার, গার্মেন্ট, ম্যানপাওয়ার থেকে শুরু করে বিস্কুট, চানাচুর, মুড়ি, চিনি, তেল, ডাল কিচ্ছু ছাড়ছে না তারা। সাধারণ মানুষ চাল-ডালসহ নিত্যপণ্যের দামে বেসামাল হয়ে গেলেও এবং সরকার নিয়ন্ত্রণের শত চেষ্টায় কাহিল হয়ে পড়লেও এই ব্যবসায়ীদের কিন্তু পোয়া বারো। তাদের কার কাছে কী পরিমান ধান-চাল মজুদ আছে সেই হিসাব উদ্ধারের সুযোগ নেই বললেই চলে। নিঃশব্দে এই মনোপলিটা করে চলছে তারা।
তাদের এই কারসাজি জানতে-বুঝতে না পারায় একটি ঘোর তৈরি হয়। প্রতিবছর এই সময় বাজারে চালের দাম কমে এলেও এবার কেন উল্টোচিত্র- প্রশ্নটি সাধারণ মানুষকে ম্যাজিকের মতো চক্করে ফেলে দেয়। সাধারণ মানুষ কেন মিল মালিকদেরও চোখে শর্ষে ফুল দেখার দশা হয়। বড় বড় ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট যে চাল ও ধানের বাজারে এমন গাঁথুনি গেড়েছে তাদের বুঝে উঠতে অনেক সময় লেগে যায়। তার ওপর মিলার ও মৌসুমি ধান ব্যবসায়ীদের কারসাজিও কম নয়, তাদের এই আচরণ পুরনো। কখনো সরবরাহ সংকট, কখনো ধানের দাম বেশি বলে চালের দাম বাড়ানোর অজুহাত তৈরিতে ঢের অবদান তাদের। এর মধ্যে আছে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা, তারা তো আরও বেপরোয়া। করোনাকালে অন্যান্য ব্যবসায় ধরা খেয়ে ধান ব্যবসায় ঝুঁকেছেন এরা। কৃষকের কাছে কম দামে কিনে বাসাবাড়িতে এমনকি গোপনে গোডাউন ভাড়া নিয়ে ধান মজুদের চালবাজি রপ্ত করে এরইমধ্যে বেশ মালদার তারা।
অবশ্য কর্পোরেট হাউস, মৌসুমী ব্যবসায়ী, মিলার সবার বুদ্ধি এবং ধান্দা এখানে অভিন্ন। চাল মজুদ করলে নষ্ট হয়ে যায় বলে তারা নজর দিয়েছে ধানের দিকে। কারণ ধান নষ্ট হয় না, অনায়াসে দীর্ঘদিন মজুদ করে রাখা যায়। সময় বুঝে মজুদকৃত ধান বিক্রি বা দ্রুত চাল তৈরি করে বিশাল টাকা হাতানোর বুদ্ধিটি বেশ লাগসই। অপ্রিয় এবং নিষ্ঠুর সত্য হচ্ছে, এখানে মৌসুম-অমৌসুম বিষয় নয়, মৌসুম-অমৌসুমের নির্ধারক এখন তারাই। অপ্রিয় এবং নিষ্ঠুর সত্য হচ্ছে, সরকার এই মজুতদারদের সঙ্গে পেরে উঠছে না। অবিরাম অভিযানে সরকার তাদের জরিমানা করছে। কিছু গুদাম সিলগালা করছে। কিন্তু, মজুতদারির বিরুদ্ধে যে কঠোর শাস্তির বিধান আছে তা কার্যকর করছে না, বা করতে পারছে না। কেন করছে না বা পারছে না, সেটি অবশ্যই প্রশ্ন।
২০১১ সালে জারি করা বিধিতে বলা হয়, সরকারের অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যবসায়ী এক টনের বেশি খাদ্য সামগ্রী তার অধিকারে রাখতে পারবে না। অনুমোদিত ব্যবসায়ীদের মধ্যে পাইকারি ব্যবসায়ী সর্বোচ্চ তিনশ’ টন ধান অথবা চাল ত্রিশ দিন পর্যন্ত মজুদ রাখতে পারবে। খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১৫ টন ধান অথবা চাল ১৫ দিন মজুদ রাখতে পারবে। চালকল মালিকরা পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতার ৫ গুণ ধান সর্বোচ্চ ৩০ দিন মজুদ রাখতে পারবে। পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতার দ্বিগুণ চাল সর্বোচ্চ ১৫ দিন মজুদ রাখা যাবে। হাস্কিং মিল মালিকরা সর্বোচ্চ ১০০ টন ১৫ দিন মজুদ রাখতে পারবে।
উল্লেখ করা জরুরি, ১৯৭৪ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইনটির একটি প্রেক্ষিত ছিল। আইনটি করাই হয়েছিল মূলত মজুদদারদের দমানোর উদ্দেশ্যে। সেই আইনে মজুতদারদের মৃত্যদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ নানা শাস্তির বিধান আছে। কিন্তু, চলতি অভিযানে কোনো মজুতদারকে তেমন কোনো দণ্ড দেয়ার খবর নেই। অথচ আইনটি কিন্তু এখনও তামাদি হয়নি। এটা নিয়ে এখন আলোচনা হওয়া জরুরি। এছাড়া, ভোক্তা অধিকার আইনে সর্বোচ্চ ৩ বছর কারাদণ্ড বা দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। সেটি কার্যকরের দৃষ্টান্তও নেই। তাহলে দমন কী দিয়ে, কীভাবে হবে? চলতি অভিযান নিয়ে ব্যবসায়ীদের কারো কারো অসন্তোষও আছে। মজুতদার শুনতে তারা অপমানিত বোধ করেন। শব্দটিকে ‘গালমন্দ’ মনে হয়। তবে, স্টকার-স্টকিস্ট বললে মন্দ লাগে না। কি পরিমান পণ্য স্টকে বা মজুদে রাখা যাবে- তা সরকারকে পরিষ্কার করার দাবি তাদের। দাবির যৌক্তিকতা আছে। আবার এ সংক্রান্ত আইনসহ নির্দেশনাও আছে। কী পরিমান পণ্য মজুদ রাখা যাবে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা রয়েছে খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনে। প্রয়োজনে এর সংস্কার আনা যায়।
দ্রব্যমূল্য অনাকাক্সিক্ষতভাবে বৃদ্ধি পাওয়া ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে কখনো সুনির্দিষ্ট কোনো স্থায়ী নীতিমালা গ্রহণ করা হয়নি। দেশের মানুষকে ভালো রাখতে হলে, নিরাপদ করতে চাইলে বাজার নিয়ন্ত্রণের বিষয়টির গুরুত্ব দেয়া খুব জরুরি। এখনই সময়, যথাযথ একটি প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখা। যদিও, এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি এলাকায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সীমিত আকারে অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু সেটির স্থায়ী ও যথাযথ রূপ এখনো লক্ষ করা যাচ্ছে না। বাজার নিয়ন্ত্রণ ও বাজারে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা অবশ্যই সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন সমন্বয়। সে দক্ষতা মূলত সরকারকেই দেখাতে হবে। সরবরাহনীতি ও বাজারকে স্থিতিশীল রাখতে সব ধরনের ঘরোয়া মজুদ করার প্রবণতা থেকে সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে। প্রশাসন ও সাধারণ মানুষকেও এ ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করতে হবে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
rintu108@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন