আমীরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা শরীফের পীর আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ বলেছেন, প্রথম থেকেই ছারছীনা দরবারের মুরীদানের মধ্যে আলেমদের আধিক্য বিরাজমান। ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্বেই অত্র দরবার শরীফের সিংহভাগ কর্মসূচি আঞ্জাম হয়ে থাকে। আলেমগণ অনেকেই নিয়মিত ইমামতির দায়িত্ব গ্রহণ না করলেও জুমার নামাজের খতীব হিসেবে প্রায় সকলেই মসজিদের খেদমতে নিয়োজিত আছেন। ইসলামী তাহযীব ও তমদ্দুন প্রতিষ্ঠায় ইমামগণ বিরাট ভ‚মিকা রাখতে পারেন।
পীর ছাহেব বলেন, বর্তমান সময়ে আলেমদের মধ্যে আকীদা ও আমলের ভিন্নতার কারণে অনেক ক্ষেত্রে আম জনতা বিভ্রান্ত হয়ে থাকে। তাই সংগত কারণেই বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর সহযোগী সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ আইম্মায়ে হিযবুল্লাহ গঠন করেছি। দোয়া করুন আল্লাহ পাক অত্র সংগঠনকে কওমের সহীহ রাহনুমায়ী করার তাওফীক দান করুন। গতকাল ছারছীনা দরবার শরীফে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আইম্মায়ে হিযবুল্লাহ প্রথম সম্মেলনে বাদ জোহর প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর ছাহেব এ কথা বলেন।
ছারছীনা দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা পীর শাহ সূফী হযরত মাওলানা নেছার উদ্দিন আহমদ (রহ.) এর ৬৯তম ইন্তেকালবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ঈছালে ছওয়াব মাহফিলের শেষ দিনে বাদ ফজর ওজীফা ও তালীমের পর ধারাবাহিকভাবে ওয়াজ-নসীহতের প্রোগ্রাম চলমান থাকে। এরই মধ্যে বাদ জোহর ছারছীনা ছেলছেলাভুক্ত ইমাম মুয়াজ্জিনদের নিয়ে বাংলাদেশ আইম্মায়ে হিযবুল্লাহর প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ আইম্মায়ে হিযবুল্লাহ গঠনের দুই মাসের মাথায় অনুষ্ঠিত প্রথম সম্মেলনে প্রায় পাঁচ সহস্র ইমাম-মুয়াজ্জিন ও আলেম যোগদান করেন।
সম্মেলনে উদ্বোধনী ভাষণ দেন সদস্য সচিব মুফতী মাওলানা মাহমুদুল মুনীর হামীম। আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাওলানা হাফেজ মো. রুহুল আমীন, বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর নাযেমে আলা ড. মাওলনা সৈয়দ মুহাম্মদ শরাফত আলী ও হাফেজ মাওলানা মো. বোরহান উদ্দিন প্রমূখ। সারাদিনব্যাপী ঈছালে ছওয়াব মাহফিলে ওয়াজ করেন মুহাদ্দিস মাওলানা মো. সিরাজুম মুনীর তাওহীদ, শাইখুল হাদীস মাওলানা মো. আ. গফ্ফার কাসেমী, মাওলানা কাজী মো. মফিজ উদ্দীন, মুফতী মাওলানা মো. হায়দার হুসাইন প্রমূখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন