শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

বাংলাদেশের পাট আমদানিতে আগ্রহী তুরস্কের উদ্যোক্তারা : রাষ্ট্রদূত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৫:৪৪ পিএম

তুরস্কের কার্পেট প্রস্তুতে বাংলাদেশে উৎপাদিত পাট অন্যতম কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় জানিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তাফা ওসমান তুরান বলেছেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত পাটের গুণগতমান উন্নত হওয়ায় তুরস্কের উদ্যোক্তারা অধিকহারে পাট আমদানিতে আগ্রহী। মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে তিনি এ কথা বলেন।

মোস্তাফা ওসমান তুরান বলেন, ২০২০ সালে তুরস্ক বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পাট আমদানি করে, যা দু’দেশের মোট রফতানির প্রায় অর্ধেক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষিখাতের যন্ত্রপাতি, তথ্য-প্রযুক্তি, জাহাজ নির্মাণ, জ্বালানি ও ফার্মাসিউটিক্যাল অত্যন্ত সম্ভাবনাময়, যেখানে তুরস্কের উদ্যোক্তারা আরও বেশি হারে বিনিয়োগ করতে পারে। এ সময় দু’দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম বাড়ানো ও চেম্বারগুলোর সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার ওপর জোর দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত।

ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার, যেখানে ২০১৯-২০ অর্থবছরে দু’দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৬৮৬ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে সামানের দিনগুলোতে তা বাড়ানোর জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উন্নয়নে দু’দেশের উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে বাণিজ্য বিষয়ক সংলাপ আয়োজনের ওপর জোরারোপ করেন ডিসিসিআই সভাপতি। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি করোনা মহামারি বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে সুতা রফতানিতে তুরস্ক আরোপিত এন্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনায় আনার আহ্বান জানান।

ঢাকা চেম্বার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন এবং তুরস্ক দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর কেনান কালায়চি উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন