ক্যাসিনো, জুয়া এবং হাউজির সঙ্গে মানি লন্ডারিংয়ের আইনগত কি সম্পর্ক রয়েছে-তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। ঢাকা ওয়ান্ডার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয় গোপাল সরকারের ৬ মামলায় জামিন চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আদালত সরকারের কাছে উপরোক্ত বিষয়ে জানতে চান। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদনের শুনানি হয়।
এর আগে ক্যাসিনোকান্ডের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া জয় গোপাল সরকারের পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। জামিন শুনানিকালে সোমবার ওয়ান্ডার্স ক্লাবের গঠনতন্ত্র,কমিটি ও অডিট রিপোর্ট চেয়েছিলেন। গতকাল এসব রেকর্ডপত্র দাখিলের পর সরকারের কাছে এ বিষয়ক আইন সম্পর্কে জানতে চান। এ বিষয়ে আগামি ৮ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি ধার্য করা হয়েছে।
বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন,জুয়া, ক্যাসিনো, হাউজির সাথে মানি লন্ডারিংয়ের আইনগত বিষয় জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এসব আইনগত বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ৮ ফেব্রুয়ারি।
প্রসঙ্গত: জয় গোপাল সরকার ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাবেক ফুটবলার। অবসরে গিয়ে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, পরে ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করছিলেন। ২০১৪ সালে ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক হন। তার হাত ধরেই গেন্ডারিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা ক্যাসিনোকান্ডে জড়িত হয়েছে বলে সিআইডির প্রতিবেদনে বলা হয়।
গত বছরের ১৩ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের একটি ভবন থেকে এক সহযোগীসহ দুই ভাই এনু ও রূপনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। পরে গেন্ডারিয়া থানায় মানি লন্ডারিং আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এনামুল হক এনু ও রূপন ভূঁইয়ার ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে জয় গোপালের নাম উঠে এলে সিআইডি তাকে ১৩ জুলাই লালবাগ থেকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে পৃথক ৬টি মামলা দেয়া হয়। জয় গোপাল বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তার পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান হাওলাদার ও মুনমুন নাহার শুনানি করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও শাহীন আহমেদ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন