জয়পুরহাটে হেপাটাইটিস রোগের প্রাদুর্ভাবে খামারিদের হাঁসের মড়ক দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনে জেলার বেশ কয়েক জন খামারির প্রায় দশ হাজার হাঁস মারা গেছে। অনেক খামারি ব্যাংক থেকে লোন করে হাঁস পালন করতে গিয়ে পথে বসার উপক্রম।
জেলার বেশ কয়েকজন খামারি সাথে কথা বলে জানা যায় হেপাটাইসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহে তাদের খামারে দশ হাজার হাঁস মারা গেছে। এতে আতঙ্কে রয়েছে অন্যান্য হাঁস খামারিরাও। খামারিদের দাবি এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাঁস মারা যাওয়ায় তাদের প্রায় ২০ লাখ টাকার উপরে ক্ষতিসাধন হয়েছে। নিয়মিত ঔষধ ও পরিচর্যা করেও তেমন কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না।
ভুক্তভোগী খামারিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হেপাটাইসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যেই মারা গেছে উপজেলার শাইলগুন গ্রামের খামারি রাজিয়া সুলতানার ১৭০০ হাঁস, হিমাইল গ্রামের খামারি সাইফুলের ১৪০০ হাঁস, মাত্রাই সোনারপাড়া গ্রামের খামারি রিমা আক্তার নিশির ১৬০০ হাঁস এবং একই গ্রামের খামারি শফিকুলের ২০০ হাঁস মারা গেছে।
খামারি রাজিয়া সুলতানা বলেন, হাঁস পালনের জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছি। হাঁসের খামারে মড়ক দেখা দেয়ায় এক সপ্তাহে আমার ১৭০০ হাঁস মারা গেছে। প্রতি হাঁসের বাজার মূল্য ৩০০ টাকা ধরে আমার পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। লোন নিয়ে এখন আমার পথে বসার উপক্রম । ভুক্তভোগী অন্যান্য হাঁস খামারিদের বক্তব্যও অনুরূপ।
কালাই উপজেলার মাত্রাই গ্রামের খামারি মিনহাজুল বলেন প্রায় তিন বছর ধরে আমি খামারে বাণিজ্যিক ভাবে হাঁস পালন করে আসলেও এ পর্যন্ত কোন প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আমার খামারে আসেনি। হাঁস রোগাক্রান্ত হলে তারা প্রাণি সম্পদ অফিসে যান। সেখানে ডাক্তাররা শুধু ব্যবস্থাপত্র দেন। কোন প্রকার ঔষধ পত্র দেন না।
অভিযোগ অস্বীকার করে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবু তালেব বলেন, ওষুধের বরাদ্দ সীমিত ছোট পরিসরে যারা হাঁস-মুরগি পালন করে তাদের বিনামূল্যে ওষুধ দিয়ে থাকি খামারিদের দেয়া যায় না। খামারিদের হাঁসের চিকিৎসা দেন ভ্যাটেরিনারি সার্জন ডা. মো. নুরুজ্জামান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন