হোয়াটসঅ্যাপ ঘোষণা করেছে নতুন সিকিউরিটি ফিচার নিয়ে আসছে ওয়েব ভার্সনে। ডেক্সটপ থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব খুললে আরও একধাপ পেরিয়ে পৌঁছাতে হবে চ্যাট বক্সে। ফোনের ফেস আইডি এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করতে হবে আনলকের ক্ষেত্রে। অর্থাৎ আপনার অ্যাকাউন্টকে নিরাপত্তা দিতে আনলক প্রক্রিয়া আরও দৃঢ় করতে চলছে হোয়াটসঅ্যাপ।
এবার থেকে কোনও ইউজার নিজের ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ওয়েব ভার্সনে লিঙ্ক করতে চাইলে ওই নির্দিষ্ট ইউজারের কাছে প্রমাণ চাইবে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে ফেসলক বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট অপশন থাকবে। এই দুইয়ের সাহায্যে ইউজাররা অথেনটিকেশন লেয়ার পার করলে তবেই হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব ভারসানে ঢুকতে পারবেন বা অ্যাকসেস পাবেন। কিউআর কোড স্ক্যান করার আগে এই আনলক প্রক্রিয়া থাকবে বলে জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ।
হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একজন ব্যবহারকারী তার মুখের ছবি (ফেসলক) এবং আঙ্গুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) নিজের ফোনেও রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে ওই ফোনের অপারেটিং সিস্টেম বা ওএস থেকে কেউ এই তথ্য ইউজারের অজান্তে জেনে নিতে পারবে না।
একজন নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীর অনুপস্থিতিতে কেউ যেন সেই ইউজারের ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ থেকে তার অ্যাকাউন্টে ঢুকতে না পারে সেই জন্যই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অতএব ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য যেমন চ্যাট, গ্রপ চ্যাট, ছবি ও অন্যান্য তথ্য সুরক্ষিত রাখাই হোয়াটসঅ্যাপের বর্তমান লক্ষ্য। তবে হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকেও কোনও ইউজারের বায়োমেট্রিক ইনফরমেশন বা তথ্য রেখে দেওয়া হবে না। বরং এগুলো থাকবে ব্যবহারকারীরা নিজস্ব ব্যক্তিগত ডিভাইসে।
বেশ কয়েক মাস ধরে হোয়াটসঅ্যাপ ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। শোনা গিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসিতে পরিবর্তন আসবে। আর এই বদল বা আপডেটের ফলে নাকি ইউজারদের তথ্যের নয়ছয় হবে, সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে যাবে এইসব তথ্য। হোয়াটসঅ্যাপ অবশ্য বিবৃতি দিয়ে সাফ জানিয়েছে, এমন কিছুই ঘটবে না। তবে তাতে মন ভোলেনি ইউজারদের। একপ্রকার বাধ্য হয়েই হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে অনেকে সিগন্যাল মেসেজিং অ্যাপ ডাউনলোড করে অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন