ক্যান্সার’ রোগটি আজ সারাবিশ্বে আতঙ্ক। ক্যান্সারকে এখন পর্যন্ত তেমন করে আয়ত্তে আনা সম্ভব হয়নি। দিনে দিনে ক্যান্সারের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি বৎসর ষাট লক্ষ লোক নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। দশ শতাংশ মানুষের মৃত্যুর কারণ ক্যান্সার। শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর সাড়ে চার লক্ষ লোক ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করে। আবার ইংল্যান্ডে প্রতি বছর আড়াই লক্ষ লোক নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় ও দেড় লক্ষ লোক ক্যান্সারের কারণে মৃত্যুবরণ করে। শরীরের প্রায় সব স্থানেই ক্যান্সার সৃষ্টি হতে পারে।
শরীরে ক্যান্সারের স্থান অনুযায়ী, কোষের ধরন অনুযায়ী এবং সে সঙ্গে এদের পৃথক পৃথক সৃষ্টির কারণ (কারসিনোজেনস্) অনুযায়ী বিজ্ঞানীরা ক্যান্সারকে মোট প্রায় দুশো প্রকারে ভাগ করেছেন। পাকস্থলির ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি হয়। এরপর ফুসফুসের ক্যান্সার, বৃহদন্ত্রের ক্যান্সার কোলন এবং সার্ভিকস্ (মেয়েদের) ক্যান্সার অধিক হতে দেখা যায়। পরিপাক তন্ত্রের যে সকল স্থান সচরাচর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় এগুলোর মধ্যে রয়েছে মুখগহ্ববের ক্যান্সার, অন্ননালী এবং পায়ুপথের ক্যান্সার। পরিপাক তন্ত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পিত্তথলি, যকৃৎ ও অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারও নেহাত কম নয়। ফুসফুসের ক্যান্সার বাদেও শ্বাসতন্ত্রে ও ডিম্বাশয়েও ক্যান্সার হয়। পুরুষদের প্রস্টেট গ্রন্থি ও অন্ডকোষের ক্যান্সারও সচরাচর দেখা যায়।
আগেই বলেছি, ক্যান্সারের চিকিৎসা এখনো শতভাগ সফল নয়। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায়ও ক্যান্সার রোগীকে পুরোপুরি সুস্থ করা সম্ভব নয়। কিছু কিছু হোমিও চিকিৎসক নিজেদের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ বলে দাবি করেন। হোমিওপ্যাথিতে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ বলে কিছু হয় না। তবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা রোগীকে যন্ত্রণাহীন দীর্ঘ জীবন দিতে পারে। ক্যান্সার রোগীর নব প্রজন্মের হোমিওপ্যাথিক ধাতুগত চিকিৎসা করলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। এছাড়া জনস্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিলেও এটা প্রতিরোধ করা সম্ভব হতে পারে।
ষ আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক-কলামিস্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন