প্রায়ই টিউবারকুলাস পেরিকার্ডাইটিসের রোগী পাওয়া যায়। বাংলাদেশে যক্ষ¥ার রোগী প্রচুর দেখতে পাওয়া যায়। হৃৎপি-ের বাইরের আবরণের নাম পেরিকার্ডিয়াম। যক্ষ¥ার জীবণুু যদি পেরিকার্ডিয়ামে ছড়িয়ে পড়ে তখন টিউবারকুলাস পেরিকার্ডাইটিস দেখা যায়।
ফুসফুসে যক্ষ¥ার জটিলতা হিসেবে টিউবারকুলাস পেরিকার্ডাইটিস দেখা দেয়। আফ্রিকায় এইডস-এর প্রচুর রোগী। এইডস-এর জটিলতা হিসেবে যক্ষ¥া হতে পারে। যেখান থেকে টিউবারকুলাস পেরিকার্ডাইটিস হয়।
টিউবারকুলাস পেরিকার্ডাইটিসে বিভিন্ন উপসর্গ থাকে। যেমনÑ
১। স্বল্পমাত্রার জ্বর ২। দীর্ঘমেয়াদি অস্বস্তি ৩। ওজন কমে যাওয়া ৪। বুকে অস্বস্তি ৫। অনেক সময় পানি জমা হয়। তখন তার জন্য বিভিন্ন উপসর্গ হয়।
ভালোভাবে ইতিহাস ও পরীক্ষা করলে সহজেই রোগটি ডায়াগনসিস করা যায়। তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ল্যাবটেস্ট করা হয়। রক্ত পরীক্ষা এক্সরে, ইসিজি এবং ইকোকার্ডিওগ্রাফি করলে অনেকটা নিশ্চিতভাবে রোগটি ধরা পড়ে। একেবার শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার জন্য পেরিকার্ডিয়ামের নীচ থেকে পানি বের করে পরীক্ষা করা হয়।
যক্ষ¥ার যে চিকিৎসা টিউবারকুলাস পেরিকার্ডাইটিসেরও সেই একই চিকিৎসা। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা করতে হয়। রোগী একটু আরাম পেলে অনেক সময় ওষুধ বন্ধ করে দেন। এটি মোটেও ঠিক নয়। অনেক সময় তাতে যক্ষ¥া জটিল আকার ধারণ করে। রোগ ভালো হতে চায় না। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ বন্ধ করা যাবে না। ৩ মাসের জন্য পেডনিসলনে ওষুধ লাগে। প্রথমদিকে ৬০ মি.গ্রামের ডোজ দেয়া হয়। তারপর ডোজ কমিয়ে ধীরে ধীরে বন্ধ করা হয়।
টিউবারকুলাস পেরিকার্ডাইটিসের প্রচুর রোগী দেখা যায়। তাই এ বিষয়ে সচেতন হতেই হবে।
ষ ডা. মো. ফজলুল কবির পাভেল
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,
মোবাইল : ০১৭১২৮৩৬৯৮৯
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন