সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারের মূল পয়েন্ট কলাতলী থেকে নাজিরারটেক পর্যন্ত তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত এ ভাঙন রোধে পরিবেশ ও পর্যটনবান্ধব প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে আধুনিক এ বাঁধ নির্মাণ করা হবে। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারের মূল পয়েন্ট কলাতলী থেকে নাজিরারটেক। মূলত বেশি পর্যটক এখানেই ভিড় করেন। কিন্তু সৈকতের এই ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র ভাঙন। প্রতিনিয়ত ঢেউয়ের আঘাতে বিলীন হচ্ছে ঝাউগাছসহ বালিয়াড়ি। প্রশাসনের পক্ষে জিও ব্যাগ দিয়ে তা রক্ষার চেষ্টা করা হলেও কার্যত হচ্ছে না।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ ভাঙন উল্লেখ করে পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতাদের দাবি, এটা রোধে পরিবেশ ও পর্যটনবান্ধব পরিকল্পনার উদ্যোগ নেওয়ার।
কক্সবাজারের এনভায়রনমেন্ট পিপলের প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, সাগর থেকে অপরিকল্পতিভাবে বালু তুলে অস্থায়ী বাঁধ সৃষ্টি করায় আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ভাঙন রোধে পর্যটন এবং পরিবেশবান্ধব প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যেখানে ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থাকবে মাল্টি ফাংশনাল বাঁধ ও সড়ক। পাশাপাশি ওয়াকওয়ে, সাইকেল বে, গাড়ি পার্কিং ও প্রদর্শনী মঞ্চ থাকবে। আর বাঁধের ভেতরে থাকবে কিডস জোন, তথ্য কেন্দ্র, লকার রুম, লাইফ গার্ড পোস্ট, অ্যাক্যুরিয়াম, বার্মিজ দোকান ও ওয়াশরুম।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, কক্সবাজারকে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতেই আমরা এ প্রকল্প প্রণয়ন করেছি। এ বাঁধ নির্মাণ করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড। চলতি মাসে প্রকল্পের কাজ শুরু করে যা ২০২৪ সালের জুন মাসে শেষ হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন