নিখোঁজের ৫ ঘন্টা পর বস্তাবন্দি ৩ বছরের শিশু শাফিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙা ইউনিয়নের ঝগড়ারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাফি ওই গ্রামের জাহেদুল ইসলামের ছেলে।
স্বজনরা জানায়, তিন বছরের শাফি। বাবা-মায়ের চোখের মনি। ছুটোছুটি আর ভাঙা ভাঙা শব্দে মধুর সব কথায় সারা বাড়িতে তার প্রাণবন্ত বিচরণ বাবা মায়ের সাথে সাথে অন্য সকলের আনন্দের মাত্রা বাড়িয়ে দিতো। কিন্তু গত শুক্রবার বিকেলে হঠাতই শাফিকে খুঁজে পাওয়া যচ্ছিল না। শাফির বাড়ির সাথে সাথে পাড়া জুড়েই যেন অন্ধকার নেমে এলো। ছোট্ট এই শিশুটির জন্য তার স্কুল শিক্ষক বাবা আর মাসহ বাড়ির সকলে চারদিকে ছুঁটে বেড়াতে লাগলেন। পাঁচ ঘন্টার খোঁজাখুঁজি শেষে শাফিকে পাওয়া গেল পাশের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে। তবে প্রাণবন্ত সেই শাফি তখন প্রাণহীন। বস্তাবন্দি অবস্থায় শাফিকে যখন তার স্বজন ও এলাকাবাসী খুঁজে পেলেন, তিন বছরের শাফি তখন মৃত। মানুষরূপী নিষ্ঠুর ঘাতক শিশুটিকে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে ফেলে রেখে গেছে। খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে পুলিশ শিশু শাফির লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়েছে।
ওসি জানান, শিশুটি নিখোঁজের প্রায় পাঁচ ঘন্টা পর তাদের বাড়ির পাশের একটি পরিত্যাক্ত বাড়ি থেকে বস্তা বন্দি অবস্থায় শিশুটির লাশ খুঁজে পায় তার স্বজন ও এলাকাবাসী।
পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তিনি বলেন, শিশুটির গলায় সামান্য দাগ রয়েছে। তার ঠোঁট দুটো অনেকটা কালচে হয়ে রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে আমরা ধারণা করছি কেউ তাকে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে লাশ ওই পরিত্যক্ত বাড়িতে ফেলে রেখে গেছে। ওসি আরও জানান, শিশুটিকে কে বা কারা এভাবে হত্যা করেছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার পরিবার কাউকে সন্দেহ করছে কি না, তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রামের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন