জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না এমন সরকারি নির্দেশনা থাকলেও চাঁদপুরের কচুয়ায় ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে দেদারছে। সেই মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়। কৃষি জমি পরিণত করা হচ্ছে গভীর পুকুরে। উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের মেঘদাইর পূর্ব মাঠে দেখা যায় এমন চিত্র দেখা যায়। গত কয়েকদিন ধরে ফারুক হোসেন নামের এক ব্যক্তি পাশ^বর্তী জমি থেকে মাটি ক্রয় করে দুটি ইটভাটায় ওই মাটি বিক্রি করছে। ফসলি জমির মাটি বিক্রি করে পুকুর খনন করায় কমে যাচ্ছে ফসলি জমি। একই সাথে খননযন্ত্র দিয়ে পুকুর খননের কারণে পার্শ্ববর্তী জমিগুলো হারিয়ে ফেলছে উর্বরতা, সৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্ন ফসল আবাদে প্রতিবন্ধকতা। অন্যদিকে জমির মাটি আনা-নেয়ার কাজে ব্যবহৃত দানব ট্রাক্টরের চাপে নষ্ট হচ্ছে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের রাস্তাঘাট। সৃষ্টি হচ্ছে ধুলাবালি, ব্যাহত হচ্ছে পরিবেশ। পার্শ্ববর্তী জমির মালিকরা জানান, খননযন্ত্র দিয়ে পুকুর করে জমির মাটি ইটভাটায় নিয়ে যাওয়ায় আমাদের জমি হুমকির মুখে রয়েছে। যেকোন সময় ধ্বসে পড়ে যেতে পারে। এখন আমরা নিরুপায় হয়ে আছি। দানব ট্রাক্টর দিয়ে ইটভাটায় মাটি আনা নেয়া করার কারণে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা অন্যদিকে রাস্তায় ধুলাবালির কারণে পরিবেশ ব্যাহত হওয়ায় চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের।
পথচারীরা জানান, এই রাস্তা দিয়ে ইটভাটার ট্রাক্টর চলাচল করার কারণে রাস্তায় প্রচুর ধুলাবালি সৃষ্টি হয়। ফলে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা দুষ্কর হয়ে যায়। সুস্থ লোক এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করলে অসুস্থ হয়ে পড়বে। জানা গেছে, মেঘদাইর গ্রামের শংকর দাস ও মোশারফ হোসেনের জমির মাটি বিক্রি করে ফারুক হোসেন স্থানীয় ইটভাটায় বিক্রি করছে। বিষয়টি জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন এলাকাবাসী। ইউএনও দীপায়ণ দাস শুভ জানান, অবাধে মাটি কাটার বিষয়ে জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন