শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

তমদ্দুন মজলিসের আলোচনা সভায় বক্তাগণ বাঙালি জাতির সাংস্কৃতিক জাগরণের উৎস কাজী নজরুল ইসলাম

প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের স্থপতি তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেছেন, কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বাংলার সাংস্কৃতিক জনক। ১৯২২ সালে ধূমকেতু পত্রিকায় সমগ্র ভারতবর্ষের পক্ষে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দেন কাজী নজরুল। এ কারণেই তাকে কারারুদ্ধ করা হয়। সাহিত্যের এমন কোনো অধ্যায় নেই যেখানে নজরুলের পদচারণা ছিল না। তিনি একাধারে কবি, লেখক, গীতিকার, গায়ক, চলচ্চিত্রকার, নাট্যকার, অভিনেতা ও সাংবাদিকতায় ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন। নজরুল বাঙালি জাতিকে চেতনাশক্তি জাগ্রত করার প্রেরণা জুগিয়েছেন।
বক্তারা বলেন, সর্বময় গুণে-গুণান্বিত ব্যক্তিকে আমরা সঠিকভাবে কদর করতে পারছি না। জাতীয় প্রেসক্লাব বিএফডিসি’তে নজরুলের কোনো নামফলক নেই। বাংলাদেশের সংবিধানেও নজরুলের জাতীয় কবির স্বীকৃতি নেই। জাতি হিসেবে আসলেই এটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক। নজরুলের অবদানকে গুরুত্ব না দিলে বা আদর্শ বিচ্যুত হলে জাতির সংস্কৃতিতে দুর্যোগের ছায়া নেমে আসবে।
বক্তাগণ আরো বলেন, কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ইসলামী গানগুলোই প্রমাণ করে তিনি কতটা মৃত্যু ও পরকালের চিন্তায় মশগুল ছিলেন।
গতকাল বিকালে জাতীয় তমদ্দুন মজলিসের মহানগর কার্যালয় ৭০ হোসাফ শপিং কমপ্লেক্স, মালিবাগ, ঢাকায় বিশিষ্ট গবেষক ও কবি ম. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ভাষা সৈনিক ও প্রবীণ সাংবাদিক অধ্যাপক আবদুল গফুর। এছাড়াও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ড. মাওলানা মাসউদুর রহমান, কবি শাহ্ সিদ্দিক, কে এম আশরাফ ও মোদি রেজা সরোয়ার প্রমুখ।
পরিশেষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের রূহের মাগফিরাত ও দেশের মঙ্গল কামনা করে দোয়া করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন