নীলফামারীতে ধর্ষণের দায়ে ওয়াজেদ আলী টুকু নামে এক প্রাইভেট শিক্ষকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ২০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয়মাস কারাদন্ড দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১। বৃহস্পতিবার দুপুরে(১১ফেবুয়ারী) আদালতের বিচারক আহসান তারেক এই আদেশ দেন।
একই মামলার আসামী অপর দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় বেকশুর খালাস দেয়া হয় বাহাদুর এবং ওহাবকে।
দন্ডিত ওয়াজেদ সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের পুর্ব বেলপুকুর দেড়ানি এলাকার মৃত. খাতির আলী।
মামলা সুত্র জানায়, ২০০৪সালের ২০ফেব্রুয়ারী পুর্ব বেলপুকুর এলাকার জালাল উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে তার মেয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্রী জিন্নাত আরা খাতুনকে জোড় পুর্বক ধর্ষণ করে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে বিষয়টি প্রকাশ না করার হুমকী দেন প্রাইভেট শিক্ষক ওয়াজেদ আলী।
পরবর্তিতে তাকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করলে চার মাসের অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ে জিন্নাত।
এক পর্যায়ে বিয়ে ও সন্তানের স্বীকৃতি দিতে তালবাহানা করলে ওয়াজেদ, বাহাদুর এবং ওহাবকে আসামী করে আদালতে মামলা করেন জিন্নাত।
মামলার তদন্ত শেষে সৈয়দপুর থানার উপ-পরিদর্শক আজগর আলী আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করায় স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ আদালত আসামী ওয়াজেদ আলীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড ২০টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদন্ড দেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি রামেন্দ্র নাথ বর্ধণ বাপ্পী জানান, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী পলাতক ররেছেন। তার অনুপস্থিতিতে আদালতের বিচারক রায় ঘোষণা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন