বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

স্বাস্থ্য

আমরা কাঁদি কেন

| প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০৬ এএম

নর্থ ক্যারোলিনা ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড.হেলসন এর মতে চোখ বেয়ে পানি পড়ার নামই কান্না। প্রশ্ন হচ্ছে আমরা কাঁদি কেন? কান্নার সময় চোখ বেয়ে পানি পড়ার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে। তবে কান্নার প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যায় না গিয়ে কান্নার কারণগুলো ব্যাখ্যা করে দেখা যাক। জীবনের সুখ-দুঃখ, কারণ-অকারণ সবকিছুতেই কাঁদতে পারে মানুষ। এখানে ব্যাখ্যা করা কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হল-

* জীবনে কোনো সঙ্গী বা সঙ্গিনী না থাকার যন্ত্রণা সবচেয়ে বেশি। মানুষের কান্নার জন্য এই কারণটি খুবই শক্তিশালী। একাকিত্ব সঙ্গী না-থাকার জন্য হতে পারে। আবার বাড়ি ছেড়ে বহুদিন দূরে কোথাও থাকার জন্যও হতে পারে।

* প্রচন্ড ভয় মানুষকে কাঁদায়। মেয়েদের মন অনেক নরম। দেখা গেছে, কোনো মেয়ের সামনে অচেনা-অজানা কারো বড়ো কোনো দুর্ঘটনা ঘটে গেলে তা দেখে মেয়েরা কেঁদে ফেলে। এমন ঘটনা ছেলেদের ক্ষেত্রেও হয় তবে কম।

* ভালোবাসায় পড়লে এবং ভালোবাসা ভেঙে গেলে, মাত্রাতিরিক্ত আবেগ কান্নার ঝড় তোলে। বাবা-মা বহুদিন সন্তানকে না-দেখলেও কাঁদেন।

* ঘৃণায় রাগ ও উত্তেজনা ছড়ালেও সেখানে কান্না জড়িয়ে পড়ে। প্রিয় কারো প্রতি আচমকা ঘৃণা জন্মালে মানুষ কেঁদে ফেলে। এই কান্না আসে অবিশ্বাস্য ঘৃণা থেকে।

* হতাশায় ডুবে গেলে কান্না আসে এ কান্না বেশ যন্ত্রণাদায়ক। কোনো লক্ষ্য অর্জনের প্রাণপণ চেষ্টা যখন বৃথা যায় তখন হতাশায় ডুবে কেঁদে ফেলে মানুষ। যে-কোনো ধরনের হাতাশা মানুষকে দুর্বল করে দেয় এবং তার প্রতিক্রিয়া দেখা যায় অশ্রু বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে।

* আমরা বেঁচে আছি এবং এক সময় পৃথিবী থেকে চলে যাব। এই সত্য সবাই অনুধাবন করেন। কিন্তু কাছের কারো মৃত্যুতে আমাদের বুক ফেটে কান্না আসে। এই কষ্টের কান্নার কোনো তুলনা চলে না। কারণ কাউকে চিরতরে হারানোর বেদনা মানুষ সামলাতে পারে না।

* অতি আনন্দে মানুষ কাঁদে, এ কান্নায় থাকে কিছু পাওয়ার স্বাদ। ছেলেমেয়েদের পরীক্ষায় প্রথম স্থান পাওয়ার আনন্দে বাবা-মা কেঁদে ফেলেন। অবিশ্বাস্য কোনো সফলতায়ও কান্না আসে। বহুদিন পর প্রিয় কাউকে ফিরে পাওয়ার আনন্দে মানুষ কাঁদে। এ কান্না আনন্দে ভরিয়ে তোলে মন।

আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক-কলামিস্ট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন