জেলার কলাপাড়ায় পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপি অফিস ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় প্রায় ৫ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপি’র প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারেফ হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিএনপি প্রার্থীসহ পৌর নির্বাচনের গণসংযোগ শেষে দলীয় অফিসে অবস্থান করে তারা। এ সময় আ.লীগ সন্ত্রাসীরা অফিসে ঢুকে ২ মিনিটের মধ্যে অফিস থেকে সকলকে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয় এবং দলীয় নেতা-কর্মীরা অফিস থেকে বের না হতেই দলীয় মেয়রপ্রার্থী হাজী হুমায়ূন সিকদারকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুড়ে মারে। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে সোহেল, আজাদসহ কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়। নৌকার সমর্থকরা অফিসের বেশ কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করে। এ ঘটনার পরপর কলাপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে রাত ৯টার দিকে স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী দিদার উদ্দিন আহমেদ মাসুমের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা। এ সময় একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে লাগানো দু’টি সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়। পুলিশ গিয়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী দিদার উদ্দিন আহমেদ মাসুম জানান, ‘রাত ৯টার দিকে নৌকার সমর্থকরা এসে তার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে। এ সময় সিসি ক্যামেরা, জানালার থাই গ্লাস ও লুকিং গ্লাস ভাঙচুর করে।’ উপজেলা আ.লীগ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব তালুকদার সাংবাদিকদের জানান, ‘এ ঘটনা আমার জানা নেই। তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।
কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. আসাদুর রহমান বলেন, ‘বিএনপি অফিসে আ.লীগ-বিএনপি’র বাক-বিতন্ডার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। শহরে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন