বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নোয়াখালীতে কোটি টাকা আত্মসাৎ, গ্রেফতার ৩

নোয়াখালী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০৫ এএম

সোনাইমুড়ী উপজেলার এক ব্যবসায়ীর দায়ের করা প্রতারণা মামলায় নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। এসময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি টেলিফোন, ৬টি মোবাইল, মসজিদ ও বিল্ডিং তৈরির নকশা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন থেকে প্রতারণার মাধ্যমে মাধ্যমে ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।

গতকাল বিকালে গ্রেফতারকৃতদের জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার থানার বালিয়াপাড়া এলাকার রেজ্জাক মাস্টারের ছেলে সুরুজ্জামান মিয়া, যশোরের বাঘারপাড়া থানার জামালপুর এলাকার আজগর আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান দিপু ও নরসিংদী সদর উপজেলার খাকসিয়া পাঁচদোনা এলাকার সুন্দর আলীর মেয়ে রিনা বেগম। তবে তারা বিভিন্ন সময় একাধিক নাম ব্যবহার করতো।

সিআইডি জানায়, হাবিবুর রহমান দিপু কোরিয়ান কোম্পানিতে কাজ করে পরিচয় দিয়ে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর ফার্নিচার ব্যবসায়ী মো. ফারুকের কাছ থেকে গত বছরের জুন মাসে দশ লাখ টাকার ফার্নিচার ক্রয় করবেন বলে কোটেশন চায়। এর কয়েকদিন পর তার সাথে দেখা করার জন্য চিটাগাং রোডের সাইনবোর্ড সংলগ্ন সাদ্দাম মার্কেটের পাশে তাদের অফিসে ডেকে নেয় ব্যবসায়ী ফারুককে। অফিসে গেলে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন কোম্পানির এমডি জামিল, একজন এমডির বোন জামিলা, একজন ম্যানেজার আল আমিন, একজন কান্ট্রি ম্যানেজার জহির, একজন জমির ক্রেতা ফয়সাল ও অপর জন জমি বিক্রেতা আব্দুল হামিদ পরিচয় দিয়ে কোম্পানির নামে একটি জমি কিনবে বলে ফারুককে জানায়। পরে তারা বায়না পত্র করে ও জমি কিনতে দুই কোটি পনের লাখ টাকা লাগবে বলে ফারুকের কাছে টাকা চায়। তাদের কথায় ফারুক নগদ ১০ লাখ ও বিভিন্ন সময় আরও ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা প্রদান করে। পরবর্তীতে বিষয়টি প্রতারণা বুঝতে পেরে ওই ব্যক্তিদের আসামি করে সোনাইমুড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করে ফারুক। মামলার ভিত্তিতে গত শুক্রবার রাতে ঢাকার মাতুয়াইল মহিলা মাদরাসা একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে সিআইডি।

সিআইডি নোয়াখালীর বিশেষ পুলিশ সুপার মো. বশির আহমেদ জানান, গ্রেফতারকৃতরা মোবাইল নম্বর ও বাসা পরিবর্তন করে বিভিন্ন ব্যক্তি থেকে প্রতারণার মাধ্যমে মোট ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। প্রতারক চক্রের অপর সদস্যদের সনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন