চট্টগ্রাম ব্যুরো : মধ্যভাদ্রের তালপাকা ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে প্রায় সারাদেশেই। সেইসাথে লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশের (ট্রাফ) প্রভাবে কোথাও কোথাও ভাদ্রের গরমে-ঘামে কাহিল হয়ে পড়ছে মানুষজন। মাঝেমধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে এখানে-সেখানে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ক্ষণিকের বর্ষণের পর আবারও তালপাকা গরম অনুভূত হচ্ছে। এদিকে লঘুচাপের বর্ধিতাংশের প্রভাবে বাংলাদেশসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩নং স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখানো হচ্ছে।
গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনি¤œ তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩৩.৭ ও ২৮.২, চট্টগ্রামে ৩১ ও ২৬.২ ডিগ্রি সে.। এ সময়ে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে ১৭০ মিলিমিটার। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে।
আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, ময়মনসিংহ, রংপুর, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় (২ দিন) বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। বর্ধিত ৫ দিনে আবহাওয়ার অবস্থার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন