পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা: পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের ছালেহা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী তুিল আক্তারকে রাঙ্গাবালী কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব (১৯) (পিতা-রফিক হাওলাদার) দীর্ঘদিন যাবৎ উত্যক্ত করে আসছিল, গত ৩০ আগস্ট সকালে তুিল স্কুলে যাওয়ার পথে বখাটে রাজীব তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলে তুলি তা প্রত্যাখান করে এত রাজীব ক্ষিপ্ত হয়ে স্কুল থেকে ফেরার পথে তাকে উঠিয়ে নেয়ার হুমকী দেয়।
তুিল স্কুলে এসে বিষয়টি স্কুলের শিক্ষকও মোবাইলে বাড়ীতে অভিভাবকদের জানায়। পরবর্তিতে স্কুল ছুটির পর কৌশলে তুলির অভিভাবকরা স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় স্কুলের নিকটবর্তী এলাকা থেকে ওৎ পেথে থাকা রাজীবকে ধরে নিয়ে স্কুলে আসে। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষ থানাকে জানালে পুলিশ এসে তুলির ভাই রফিক তালুকদারের লিখীত অভিযোগের ভিক্তিতে ইভটিজিং এর দায়ে রাজীবকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ দিকে রাতে রাতেই থানা থেকে ছাড়া পেয়ে রাজীব গতকাল সকালে ওই স্কুলের শিক্ষক শহীদুল ইসলামকে রাস্তায় লাঞ্ছিত করে, পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে বখাটে রাজীবের হাত থেকে শিক্ষক শহীদুল ইসলামকে রক্ষা করে। এ দিকে স্কুল শিক্ষক শহীদুল ইসলাম স্কুলে এসে বিষয়টি সকলকে জানালে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে তাৎক্ষনিক ক্লাসবর্জন করে এবং এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বলে জানিয়েছেন স্কুল প্রধান শিক্ষক। বিষয়টি তাৎক্ষনিক স্কুল কর্তৃপক্ষ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানালে তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে ২৪ ঘন্টার সময় চেয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামসুল আরেফিন বলেন ,গতকালের ঘটনার পর রাজীবকে ইভটিজিং-এর অভিযোগে সালেহা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে থানায় নিয়ে আসা হয়। রাঙ্গাবালী উপজেলায় কোন উপজেলা নির্বাহী অফিসার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেই ,পাশ্ববর্তী গলাচিপা উপজেলার নির্বাহী অফিসার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে কাজ করেন ,তিনিও ছুটিতে থাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম চালানো যায়নি। পরবর্তীতে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করতে রাজী না হওয়ায় তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মামুন খানের জিম্মায় রাতে রাজীবকে ছেড়ে দেয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন