চাকুরি দেওয়ার নাম করে মোট অংকের টাকা আতœসাতের অভিযোগে ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তির নামে ময়মনসিংহের আদালতে মামলা হয়েছে। গত রোববার ময়মনসিংহের ২ নম্বর আমলি আদালতে মামলাটির আবেদন করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে বিচারক মামলাটি গ্রহন করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী মুক্তাগাছা উপজেলার দাওগাঁও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি শাহজাহান সরকার।
মামলায় উল্লেখ করা হয় দাওগাঁও ইউনিয়নের মোট ছয়জনের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে মোট ৩৬ লাখ ৫০ হাজার নেন সাবেক এ সাংসদ।
মামলার বাদী শাহজাহান সরকার বলেন, এমপি থাকাকালীন সময়ে তিনিসহ তার আরও পাঁচজন প্রতিবেশির কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেন সাংসদ সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি আর মনোনয়ন পাননি। এরপর থেকে তিনি এলাকায় কম থাকেন। ফোন ধরেন না। চাকরি দিতে না পারার পর টাকা ফেরত চাইলে তিনি টাকা ফেরত দিতে বিভিন্ন সময় তারিখ দেন। কিন্তু টাকা ফেরত দেননি। সর্বশেষ গত ২৩ জানুয়ারি ২০২১ ইং তারিখ টাকা ফেরত চাইলে তিনি টাকা না দিয়ে গালাগাল করে তারিয়ে দেন। পরে প্রতারণার শিকার আমরা ছয়জন মিলে মামলার সিদ্ধান্ত নেই। সবার সম্মতিতে আমি বাদী হয়ে মামলাটি করেছি।
মামলার বাদী পক্ষে আইনজীবী শাহজাহান কবীর বলেন, গত রোববার মামলাটির আবেদন আদালতে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার ২ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক হাফিজ আল আসাদ মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি ২০১৪ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির হয়ে মহাজোট থেকে ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসন থেকে বিনা প্রতিদন্দ্বিতায় সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে চাকরির নাম করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে অর্থ আতœসাতের অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে ওই সময় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।
মঙ্গলবার বিকালে সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তিকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন